বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪, ১০:২১ অপরাহ্ন

ডিমলায় জিং সমৃদ্ধ ব্রি-ধান-৬২ -এর বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

ডিমলায় জিং সমৃদ্ধ ব্রি-ধান-৬২ -এর বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

বাসুদেব রায়, ডিমলা নীলফামারী প্রতিনিধিঃ প্রান্তিক কৃষক মোঃ জাকারিয়া সরকার ৫০ শতাংশ জমিতে জিং সমৃদ্ব ব্রি-ধান-৬২-এর বাম্পার ফলনে তার মুখে হাসির প্রতিফলন লক্ষকরা গেছে। এছারাও কৃষক মোঃ মেহেদি হাসান, ছাদিক হোসেন সহ অনেকে বলেন, বিঘা প্রতি ১৩-১৪ মণ ধান হয়েছে। এ ধান আবাদ করে অধিক ফলন পেয়ে আমরা অনেক লাভবান হয়েছি। পাশাপাশি এ ধানটি আগাম জাতের একটি ধান। যা কর্তনের ফলে এখন আমরা এ জমিতে আগাম আলু, ভূট্টা সহ নানা ধরনের ফসল লাগাতে পারবো। জিং সমৃদ্ধ ব্রি-ধান-৬২ সম্পর্কে জানতে চাইলে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা কৃষিবিভাগের খালিশা চাপানী ডালিয়া ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আল মাহামুদুল হাসান বলেন, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে রাজস্ব খাতের রোপা আমণ ধানের প্রদশনীয় কৃষক মোঃ জাকারিয়া সহ অত্র উপজেলার বিভিন্ন ব্লকে জিং সমৃদ্ধ ব্রি-ধান-৬২ ধানের বীজ কৃষকদের মাঝে বিনা মূল্যে বিতরন করা হয়। আমরা যারা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ আছি তারা নিয়মিত মাঠ পর্যবেক্ষনে রয়েছি। প্রতি ব্লকের মাঠে দাড়ানো ফসলের অতন্ত্র জরিপের মাধ্যমে পোকামাকড়ের উপস্থিতি নির্ণয় সহ কৃষকের কাঙ্খিত ফলন নিশ্চিত করার পরামার্শ প্রদান করা হচ্ছে। আশা করি এতে কৃষকগণ লাভবান হবে। জিং সমৃদ্ধ ব্রি-ধান-৬২ এর উপকারীতা সম্পর্কে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (কৃষিবিদ) মোঃ সেকেন্দার আলী বলেন, এ ধানটি জিং সমৃদ্ধ হওয়ায় খাদ্য চাহিদা মেটানোর পাশাপশি মানবদেহের পুষ্টির গুরুত্বপূর্ণ চাহিদা পূরণের সহায়ক হবে। এছারাও কৃষকেরা আগাম ধান ঘরে তুলে এবং এর খড় বিক্রয় করে লাভবান হবে। এছাড়া একই জমিতে ৩ বার ফসল ফলানো সম্ভব। আশা করি আগামী অর্থ বছরে ডিমলা উপজেলায় এ ধান রোপনে কৃষকগণ আগ্রহী হবে এবং জাতীয় অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখবে।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com