মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৭ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
মুরগির বাচ্চায় দিনে ৯ কোটি টাকা লোপাট নরসিংদীতে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের উঠান বৈঠক কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হরিপুরে গ্রামবাংলার ঝোপঝাড় হতে বিলুপ্তির পথে কুচফল ওয়াজের মাঠ কাপানো আর নারীদের খাট কাপানো হুজুর মুফতি মুহাম্মদ শফিকুজ্জামান দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় ৮০০ নেতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে: রিজভী নির্বাচন কবে, সেই ঘোষণা হবে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকেই : প্রেস উইং মোহাম্মদপুরে সন্ত্রাসী রহিম ও তার ছেলের অত্যাচার নির্যাতনে অসহায় এলাকাবাসী উত্তরা ব্যাংকের এমডি রবিউল হোসেনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অপসারনের দাবিতে রাজপথে বিল্পবী ছাত্র জনতা ইসরায়েলি বর্বর হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়াকে দেখে কেঁদে ফেললেন মির্জা ফখরুল
কলকাতায় যেভাবে পর্ন তৈরি হয়

কলকাতায় যেভাবে পর্ন তৈরি হয়

ডেস্ক নিউজঃ ক্যামেরা, লাইটস, সাউন্ড— অ্যাকশন। এ সব তো জানা ছিল। জানা ছিল আরও। যেমন, একটা ছবি শুট করতে গেলে তার স্ক্রিপ্ট থাকবে। থাকবেন পরিচালক। কলাকুশলী। থাকবে একটা গোটা ইউনিট। কিন্তু, ডায়েরিটা খুলেই চোখ কপালে উঠে গিয়েছিল এক পুলিশ কর্তার। সেখানে পাতার পর পাতায় তালিকার মতো করে লেখা বিভিন্ন চরিত্রের নাম। যেমন অফিসের বস-সেক্রেটারি, জামাই-শাশুড়ি, শালি-জামাইবাবু, হানিমুন কাপল। আর চরিত্রের নীচে সে সম্পর্কে অল্প কয়েকটি শব্দে ছোট করে নোট। দেখে বোঝার উপায় নেই, সেগুলি আসলে এক একটা স্ক্রিপ্ট।

ডায়েরি লেখক এক জন চলচ্চিত্র পরিচালক। পুলিশ কর্মকর্তার প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, তাঁরই নির্দেশনায় ওই স্ক্রিপ্ট থেকে শুটিং চলছিল। কোথায় চলছিল শুটিং? কলকাতার সল্টলেকে। অতি পরিচিত এক বিয়েবাড়ি ভাড়া করে। বাড়ির মালিক-সহ গোটা টিমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কারণ, যে সে ছবি নয় ওঁরা পর্ন ছবির শুটিং করছিলেন। সল্টলেকে নীল ছবি? অবাক হবেন না। শুধু সল্টলেক নয়, কলকাতা শহরের বিভিন্ন জায়গাতে এমন ছবির শুটিং হওয়াটা নাকি নিয়মিত ঘটনা। শুধু কলকাতা নয়, রাজ্যের বেশ কিছু জায়গাতেই হয় এমন শুটিং। পুলিশ কর্তাদের একাংশের এমনই দাবি।

কেমন ভাবে তৈরি হয় পর্ন ছবি?

আর পাঁচটা ছবির মতো করেই তৈরি হয় পর্ণ চিত্র। শুরুটা হয় লোকেশন নির্বাচনের কাজ দিয়ে। কোনও বাড়িতে বা রিসর্টে এর মূল কাজটা হয়। কাজ শুরুর আগে পরিচালক গোটা এলাকাটা রেকি করে আসেন। যেখানে শুটিং হবে, তার আশপাশের বাড়ি-ঘরদোর এমনকী মানুষ জনের কাজের ধরণও জরিপের মধ্যেই পড়ে। খুব শব্দপ্রবণ এলাকায় শুটিং করা চাপের হয়। কারণ, রেকর্ডিং-এর সময় ‘অবাঞ্ছিত’ আওয়াজ শিল্পীদের, মূলত অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মনোসংযোগে ব্যাঘাত ঘটায়। পাশাপাশি প্রতিবেশীরা যদি শুটিং-এর ব্যাপারে খুব উত্সাহী হয়ে পড়েন তবে মূল কাজটিই তো হবে না। সুতরাং অতি ব্যস্ত অথবা এক্কেবারে নির্জন এলাকার বাড়ি-রিসোর্ট নির্বাচন হয়। সল্টলেক সব দিক থেকেই নিরাপদ। শুধু সল্টলেক নয়, রাজারহাট, নিউটাউনের পাশাপাশি কলকাতারও কিছু এলাকা নীল ছবির ইউনিটের কাছে প্রিয় তার স্বভাবের কারণেই।

অভিনেতা-অভিনেত্রীরা কোথা থেকে আসেন?

অনেকেরই ধারণা, এই ছবিতে যারা কাজ করেন তাঁরা পেশায় যৌনকর্মী। কিন্তু, এটা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সত্যি নয়। পুলিশ সূত্র জানাচ্ছে, কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় যারা নীল ছবিতে কাজ করেন তাঁদের সকলেরই অন্য পেশা রয়েছে। গৃহবধূ থেকে কলেজ পড়ুয়া, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট থেকে কল সেন্টার কর্মী, এমনকী থিয়েটার শিল্পীও— নানা পেশার ভিড় জমেছে এখন পর্ন ছবির দুনিয়ায়। বয়স যত কম, নির্মাতাদের কাছে তাঁর চাহিদা তত বেশি। দেখতে সুন্দর হওয়ার পাশাপাশি আবেদনের উন্নত মাত্রাবোধও এ ক্ষেত্রে বিচার্য। কাজ পাওয়ার জন্য এগুলি অগ্রাধিকার পায়। শুধু কাজ পাওয়া নয়, পারিশ্রমিকও সেই হিসেব করেই হয়। বয়স কিন্তু তাদের ১৮ থেকে ৩০এর মধ্যেই।

নীল ছবির শুটিং-এ গ্রেপ্তার হওয়া এক তরুণী পুলিশের কাছে জানিয়েছেন, তিনি পেশায় থিয়েটার কর্মী। মফস্বলের একটি নাট্যদলে অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি সিনেমাতেও কাজ করতে চেয়েছিলেন। খোঁজখবর করতে করতে যোগাযোগ হয় এক জনের সঙ্গে। তিনিই সিনেমার নাম করে পর্ন ছবিতে নামান ওই তরুণীকে। টাকাপয়সা মন্দ নয়। প্রতি দিনের হিসেবে কাজ করলে প্রায় হাজার আড়াই টাকা পারিশ্রমিক মেলে। আর ঘণ্টাকয়েকের কাজ শেষে ফিরে যাওয়া যায় থিয়েটারের আশ্রয়ে।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com