বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৫৭ অপরাহ্ন
যাদের মধ্যে মৃতের সংখ্যা ৭৯৯ জন এবং জীবিত ব্যক্তির সংখ্যা ৩৯২২ জন। একইসঙ্গে ২০৩০ সাল নাগাদ দেশকে মরণব্যাধী এইচআইভি/এইডস মুক্ত করতে সরকার অঙ্গীকারাবদ্ধ বলেও জানান তিনি।
জাতীয় সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে রবিবারের বৈঠকে বেগম সালমা ইসলামের (ঢাকা-১) এর লিখিত প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মোহাম্মদ নাসিম আরও জানান, ১৯৮৯ সালে দেশে প্রথম এইচআইভি সনাক্ত হয়। বর্তমানে এ রোগে সংক্রমের হার মাত্র দশমিক শূন্য ১ শতাংশ।
এম আবদুল লতিফের ( চট্টগ্রাম-১১) এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, দেশের নামী-দামী কিছু কোম্পানির কিছু কিছু ব্র্যান্ডের ঔষধ নকল হয়, যা অত্যন্ত নগণ্য। এসকল নকল-ভেজাল ঔষধ উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে আসছে।
তিনি আরও জানান, দেশের বিভিন্ন স্থানে নকল, ভেজাল ও অবৈধ ঔষধ প্রস্তুতকারী, বিক্রয়কারী ও সরবোরাহকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে সরকার জেলা সকল জেলার জন্য কার্যকরী ‘জেলা ঔষধের অনিয়ম প্রতিরোধ সংক্রান্ত অ্যাকশন কমিটি’ গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি ঔষধের অনিয়ম সংক্রান্ত সকল বিষয়ে নিয়মিতভাবে অভিযান পরিচালনা ও প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
এদিন, মমতাজ বেগমের (মানিকগঞ্জ-২ ) অপর এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, রোহিঙ্গা শিবিরে জম্ম নেয়া নবজাতকের জম্ম নিবন্ধনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
এছাড়া রোহিঙ্গা শিশুদের দ্রুত টিকাদানের আওতায় আনতে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। হাম রোগের প্রাদূর্ভাব রোধকল্পে ২০১৭ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর হতে ৬ মাস থেকে ১৫ বছরের নিচের সকল মিয়ানমার নাগরিক/শিশুদের ১ ডোজ এম আর টিকা এবং ০-৫৯ মাস বয়সী সকল শিশুকে ১ ডোজ বিওপিভি টিকা দেয়া হয়।
১ থেকে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত ১ বছর বয়সের ঊর্ধ্বে সকল শিশুকে ১ ডোজ কলেরা টিকা খাওয়ানো হয়। গত বছরের ১৮ নভেম্বর থেকে রোহিঙ্গা শিশুদের নিয়মিত টিকাদান কার্যক্রমের সকল টিকা ( বিসিজি, বিওপিভি, আইপিভি, পেন্টাভ্যালেন্ট, পিসিভি ও এমআর) ইপিআই টিকাদান সময় সূচি অনুযায়ী কার্যক্রম চলছে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।