শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৩ পূর্বাহ্ন
ক্রীড়া ডেস্ক: পুরনো বলের আচরণ পরিবর্তনে মুখের থুতু বা লালা ব্যবহার করেন বোলাররা। কারণ বাড়তি সুইং পেয়ে থাকেন পেসাররা। আর গ্রিপ করতে স্পিনাদের সহায়তা করে এটি। তবে বিশ্বব্যাপী করোভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে মাঠে যখন ক্রিকেট ফিরবে তখন এই সুবিধা বোলার হয়তো পাবেন না। কারণ বলে থুথু বা লালার ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে পারে আইসিসি। তবে আইসিসির সিদ্ধান্তের আগে বলে থুথু ব্যবহার নিষিদ্ধ করছে অষ্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ড।
জনপ্রিয় ক্রিকেট ভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোর মতে, অস্ট্রেলিয়ার ইনস্টিটিউট অব স্পোর্টস (এআইএস) বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, স্পোর্টস বডি এবং ফেডারেল ও স্টেট সরকারের প্রতিনিধিদের মতামত নিয়েছে। সেখান থেকে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে একটা গাইডলাইন তৈরি করা হচ্ছে। একই সঙ্গে ক্রিকেট খেলায় বলে থুতু এবং লালা ব্যবহারের ক্ষেত্রে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারির নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
তবে এটি(বলে থুতু এবং লালা ব্যবহার) বন্ধ হলে বিপদে পড়বেন পেসাররা। কারণ তাদের জন্য সুখবর নিয়ে আসল অস্ট্রেলিয়ার খেলাধুলার সরঞ্জামাদি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান কুকাবুরা। তারা থুতু বা লালার বিকল্প হিসেবে ব্যবহারের জন্য ওয়াক্স এপ্লিকেটর বানাচ্ছে।
জানা গেছে, এটি(ওয়াক্স এপ্লিকেটর) হবে পকেট সাইজের স্পঞ্জসদৃশ একটি বস্তুর মতো। যা বলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য ঘষামাজার কাজে ব্যবহৃত হবে। ঘাম বা লালার মতোই কাজ করবে এই ওয়াক্স এপ্লিকেটর।
এ বিষয়ে কুকাবুরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকা ব্রেট এলিয়ট বলেছেন, ‘যেহেতু ক্রিকেটে লালা বা ঘামের ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞার কথা ভাবা হচ্ছে, আমরা মনে করি আমাদের এই ওয়াক্স এপ্লিকেটর একটা সমাধান হতে পারে। এটি এখনই ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত।’
তিনি আরো বলেন, ‘ক্রিকেট শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা এর জোগান দিতে পারব। বড় জোর আর এক মাস লাগতে পারে। তবে যেহেতু খেলাধুলা বন্ধ, তাই ম্যাচ কন্ডিশনে পরীক্ষা করার সুযোগ নেই আমাদের সামনে। তবে কিছু ট্রায়াল দিয়েই সবার জন্য উন্মুক্ত করা হবে এটি।’