সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৫ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: বেতনভাতা বৃদ্ধিসহ ১১ দফা দাবিতে নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী অনির্দিষ্টকালের পণ্যবাহী নৌযান ধর্মঘট শুরু হয়েছে।
সোমবার বিকেল থেকে রাত পৌনে ১২টা পর্যন্ত রাজধানীর মতিঝিলে বিআইডব্লিউটিএ ভবনে নৌযান মালিকদের সঙ্গে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে কোনো ফলাফল না আসায় রাত ১২টার পর থেকে বরিশালসহ সারা দেশে এই ধর্মঘট শুরু হয়।
এর আগে একই দাবিতে গত দেড় বছরে আরও তিনবার ধর্মঘটে গিয়েছিলেন তারা।
নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন বরিশাল শাখার যুগ্ম সম্পাদক একিন আলী মাস্টার জানান, ধর্মঘট শুরুর সব প্রস্ততি তারা শেষ করেছেন। শ্রমিকরা সন্ধ্যার পর থেকে নৌবন্দর এলাকায় ফেডারেশন কার্যালয়ে অবস্থান নিয়েছেন। নদী বন্দরে গিয়ে রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে তারা পণ্যবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেন।
১. বাল্কহেডসহ সব নৌযান ও নৌপথে চাঁদাবাজি-ডাকাতি বন্ধ করা।
২. ২০১৬ সালে ঘোষিত গেজেট অনুযায়ী নৌযানের সর্বস্তরের শ্রমিকদের বেতন প্রদান।
৩. ভারতগামী শ্রমিকদের ল্যান্ডিং পাস এবং মালিক কর্তৃক খাদ্যভাতা প্রদান।
৪. সব নৌযান শ্রমিকের সমুদ্র ও রাত্রিকালীন ভাতা নির্ধারণ।
৫. এনডোর্স, ইনচার্জ, টেকনিক্যাল ভাতা পুনর্নির্ধারণ।
৬. কর্মস্থলে দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ ১০ লাখ টাকা নির্ধারণ।
৭. প্রত্যেক নৌশ্রমিককে মালিক কর্তৃক নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র ও সার্ভিস বুক প্রদান।
৮. নদীর নাব্য রক্ষা ও প্রয়োজনীয় মার্কা, বয়া ও বাতি স্থাপন।
৯. মাস্টার-চালক পরীক্ষা, সনদ বিতরণ ও নবায়ন, বেআইনি নৌচলাচল বন্ধ করা।
১০. নৌপরিবহন অধিদপ্তরে সব ধরনের অনিয়ম ও শ্রমিক হয়রানি বন্ধ এবং
১১. নৌযান শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শাহ আলম ভূঁইয়া বলেন, “আমরা মালিকদের সঙ্গে দীর্ঘ সময় আলোচনায় আমাদের যৌক্তিক দাবি তুলে ধরেছি। কিন্তু মালিকরা আমাদের কোনো দাবি মেনে না নেওয়ায় এ সিদ্ধান্ত অনড় থাকতে হয়েছে।”