সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:১৫ পূর্বাহ্ন
বাসুদেব রায়, ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি : নীলফামারীর ডিমলায় উত্তর তিতপাড়া সোনাবেচাটারী গ্রামে এক স্কুল শিক্ষিকাকে লাঞ্চিত করেছেন বলে জানা যায়। উক্ত ব্র্যাক শিক্ষিকা হলেন একই গ্রামের মোঃ মিজানুর রহমানের স্ত্রী তারা বানু। তারাবানু বলেন তিনি দীর্ঘদিন যাবত উক্ত ব্র্যাক স্কুল ঘরটি ভাড়া হিসাবে লইয়া কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মাঝে পাঠদান প্রদান করিয়া আসিতেছি। ইহার এক পর্যায়ে গত ডিসেম্বর/২০১৮ ইং মাসে ব্র্যাক শিক্ষা প্রজেক্টের মেয়াদ শেষ হওয়ায় ব্র্যাক স্কুলের সকল আসবাবপত্র তারাবানু ২৮/১২/২০১৮ সালে ১৬ হাজার টাকার বিনিময় ব্র্যাক কর্তৃপক্ষের নিকট হইতে ক্রয় করেন। এমতাবস্থায় ছাত্র/ছাত্রীদের শিক্ষার মান ধ্বংস হইবে মর্মে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা-ভাবনা করিয়া উক্ত মালিকের সহিত কথাবার্তা বলিলে সে তারাবানুকে স্কুল পরিচালনা করিতে দিবে না মর্মে জানায় এবং স্কুল ঘরের সকল আসবাব পত্র রাতের অন্ধকারে বাড়ীর মালিক জহুরুল ইসলামের নেতৃত্বে তাহার নিজ বাড়ীতে লইয়া গিয়া স্কুল ঘরে তালা লাগাইয়া দেয়। পরদিন তারাবানু ও শিক্ষার্থীরা স্কুল ঘরে উপস্থিত হয়ে দেখে যে, ঘরে অন্য তালা লাগানো রহিয়াছে। এ বিষয় তারাবানু ঘর মালিককে জিজ্ঞসা করিলে সে তারাবানুর উপর অর্যথা ক্ষিপ্ত হইয়া তার পরিবারের লোকজন সহ তারাবানুকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ সহ চরথাপ্পর, লাথিগুড়ি ও এলোপাতারী মারডাং করিয়া পড়নের শাড়ী বিবস্ত্র করত: তাহাকে বাড়ীতে আটক করিয়া রাখে।
তাৎক্ষনিক এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি ঘটনাস্থলে গিয়ে তারাবানুকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তারাবানুকে নিজ বাড়ীতে পাঠিয়ে দেয়। পরবর্তীতে উক্ত শিক্ষিকা প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহন করেন এবং ন্যায় বিচারের স্বার্থে তারাবানু বাদী হয়ে ডিমলা থানায় ০৬ জনের বিরুদ্ধে ০৩এপ্রিল-২০১৯ ইং তারিখে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এ প্রসঙ্গে ৮ এপ্রিল- সোমবার দুপুরে ডিমলা থানার এএসআই- জহুরুল ইসলাম ঘটনাস্থল পদির্শনকালে বিবাদীপক্ষগণ ক্ষিপ্ত হইয়া তারাবানুকে পুনরায় মারডাং করার পায়তারা করেছেন বলে এলাকাবাসী ও অভিভাবকগণ জানান। এ বিষয় এলাকাবাসীরা মনে করেন স্কুলটি এই মুহুর্তে বন্ধ হয়ে গেলে এলাকার কোমলমতি ছাত্র/ছাত্রীদের লেখাপড়ার মান বিনষ্ট হইবে। এছাড়াও এলাকার ব্যক্তিবর্গ বলেন এ বিষয় উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করা উচিত।