শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৪ পূর্বাহ্ন
ভিশন বাংলা ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজিবি সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, সীমান্ত রক্ষায় পেশাদারিত্ব বজায় রেখে দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন। আমাদের বিজিবি বাহিনীর সদস্যরা সীমান্ত রক্ষায় বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ বাহিনী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে।আজ বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) পিলখানার সদর দফতরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের ‘বিজিবি দিবস-২০১৯’ উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিজিবি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বাহিনী। এ বাহিনীর সদস্যরা শুধু সীমান্ত রক্ষা নয়, তারা বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় এবং দেশের প্রয়োজনে যে কোনো সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসা কয়েক লাখ রোহিঙ্গাদের থাকা-খাওয়াসহ যাবতীয় ব্যবস্থাপনা গ্রহণের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘চোরাচালান, মাদক, সন্ত্রাস, অবৈধ অনুপ্রবেশ কঠোরভাবে বন্ধ করবেন। এ ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেবেন না।’শেখ হাসিনা বলেন, বিজিবিকে আরও শক্তিশালী ও আধুনিকায়ন করে গড়ে তুলতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। দুর্গম এলাকায় যাওয়ার জন্য বিজিবিকে দুটি স্পেশাল হেলিকপ্টারসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন সরবরাহ করা হয়েছে। ডগ স্কোয়াড গঠন করা হয়েছে। উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য চুয়াডাঙ্গায় আরেকটি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট করা হয়েছে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দারিদ্র্যের হার ৫ ভাগে নামিয়ে এনেছি। মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। আমরা সবার বেতন ও সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়ে দিয়েছি। আজ আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমাদের আর ভিক্ষা চেয়ে চলতে হয় না। কিন্তু স্বাধীনতার পর পর এই অবস্থা আমাদের ছিল না। অনেক চড়াই-উৎড়াই পার হয়ে আজ আমরা এই অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। কাজে এটি আমাদের ধরে রেখে এগিয়ে যেতে হবে।বিজিবির উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা এই দেশকে ভালোবাসবেন। দেশের মানুষের প্রতি কর্তব্য পালন করবেন। দেশ যদি উন্নত হয় তাহলে আপনাদের পরিবার পরিজনের উন্নতি হবে, দেশের মানুষের উন্নতি হবে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। সারাবিশ্বের কাছে আমরা মাথা উঁচু করে চলব। উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে বিশ্বে আমরা আপন স্থান গড়ে নেব। আমরা অনেক দূর এগিয়েছি, আরও অনেক দূর যেতে হবে।তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যেভাবে বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন তা পারেননি। সে দায়িত্ব এখন আমার-আপনাদের সবার ওপর। স্বাধীনতার পরে একটি বিধস্ত দেশকে সাড়ে তিন বছরের মাথায় স্বল্পোন্নত দেশে পরিণত করেছিলেন। তার দেখানো পথ ধরে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। এখন আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ। খাবারের জন্য কারো কাছে হাত পাততে হয় না। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। মনে রাখবেন দেশ উন্নত হলে তার সুফল সবাইই পাবেন।এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল ১০টায় পিলখানা সদর দফতরে উপস্থিত হন। পরে পিলখানায় বিজিবি সদর দফতরের বীর-উত্তম আনোয়ার হোসেন প্যারেড গ্রাউন্ডে বিজিবি দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন এবং অভিবাদন গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।