বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২৬ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: সিলেট এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় এজাহারভুক্ত আরও এক আসামি গ্রেপ্তার। সিলেটের এমসি (মুরারিচাঁদ) কলেজের ছাত্রাবাসে গৃহবধূকে দল বেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক আহমেদকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) তাকে সুনানগঞ্জের দিরাই থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার তারেক চাঞ্চল্যকর এ ধর্ষণ মামলার এজাহারভুক্ত দুই নম্বর আসামি। এ নিয়ে ধর্ষণ মামলার ৯ আসামির মধ্যে ৮ জন এবং এজাহারভুক্ত ৬ আসামিকেই গ্রেপ্তার করলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
এর আগে, সোমবার সাড়ে ১২টার দিকে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর এলাকা থেকে মামলার ছয় নম্বর আসামি মাহফুজুর রহমান মাসুমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আর সোমবার রাত ১টার দিকে সিলেটের ফেঞ্জুগঞ্জের কচুয়া নয়াটিলা এলাকা থেকে সন্দেহভাজন আসামি রাজন ও তার সহযোগী আইনুলকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
২৭ সেপ্টেম্বর মাহবুবুর রহমান রনি এবং রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে রনিকে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ থেকে এবং রবিউলকে নবীগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে, ২৭ সেপ্টেম্বর সকালে সুনামগঞ্জ থেকে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান ও হবিগঞ্জ থেকে অর্জুন লস্কর নামে এজাহারভুক্ত আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সিলেটের এমসি কলেজে বেড়াতে গিয়েছিলেন সিলেটের দক্ষিণ সুরমার এক দম্পতি। এ সময় ছাত্রলীগ নামধারী ৫/৬ জন নেতাকর্মী তাদের জোরপূর্বক ছাত্রাবাসে ধরে নিয়ে আসে। সেখানে দু’জনকেই মারধর করে তারা। পরে, ছাত্রাবাসে তরুণীর স্বামীকে বেঁধে রেখে তার সামনেই স্ত্রীকে ধর্ষণ করা হয়। ধর্ষণের ঘন্টাখানেক পর দুর্বৃত্তরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
এ ঘটনায় শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ছাত্রলীগের ৬ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ধর্ষিতার স্বামী। মামলায় যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা হলেন, সাইফুর রহমান (২৮), তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক আহমদ (২৮), শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি (২৫), অর্জুন লস্কর (২৫), রবিউল ইসলাম (২৫) ও মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুম (২৫)। আসামিরা সবাই ছাত্রলীগের নেতাকর্মী হিসেবেই পরিচিত।