সারা দিনের অভিযানে সাতটি ভবনের গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এই সাতটি ভবনে ১০৯টি গ্যাস সংযোগের মধ্যে শুধু ২৪টি ছিল বৈধ। ৮৫টি গ্যাস সংযোগ অবৈধভাবে দেওয়া হয়েছে। অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার কারণে ভবনগুলোর মালিকদের এক লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ঢাকা জেলা মেজিস্ট্রেট।
অভিযানের প্রথমেই তাঁরা বর্ধনবাড়িতে প্রবেশ করেন। এ সময় ৩৫টি গ্যাসলাইনই অবৈধ বলে প্রমাণ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিতাস গ্যাসের পক্ষ থেকে বাড়ির সব গ্যাসলাইন বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। অন্যদিকে ঢাকা জেলার ম্যাজিস্ট্রেটের পক্ষ থেকে অবৈধ গ্যাসলাইন ব্যবহার করার কারণে বাড়ির জমির মালিক সৌরভ আহমেদকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এই জরিমানা পরিশোধ করতে না পারলে অনাদায়ে ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের কথা জানান ঢাকা জেলার ম্যাজিস্ট্রেট দিদারুল ইসলাম।
এর পরই শুরু হয় হট্টগোল। বাড়ির মালিকদের পক্ষ থেকে গ্যাসের বিল প্রদানের স্লিপ দেখানো হয়। স্লিপে দেখা যায়, ওই বাড়ির প্রতিটি ফ্ল্যাটের গ্যাসের বিল বাড়িটির ডেভেলপার কম্পানি গ্রহণ করেছে। প্রতিটি ফ্ল্যাটের মালিকের কাছে এই কম্পানিতে দেওয়া টাকার বিলের রসিদ রয়েছে। কারো কাছেই তিতাস গ্যাসের বিলের রসিদ নেই। এ বিষয়ে জানতে চাইলে জমির মালিক সৌরভ আহমেদ বলেন, ‘২০১৯ সাল থেকে আমরা ডেভেলপার কম্পানিকে বিল দিয়ে আসছি। আমরা যতবার তিতাসের বিলের কাগজের কথা বলছি ততবারই বলছে ওইগুলো কম্পানির কাছে আছে। আমরা কেন এখন দায়ভার নেব? আপনারা কম্পানিকে ধরেন।’