বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৩০ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
পদ্মা ব্যাংকে আটকে আছে ন্যাশনাল টি কোম্পানির ১৯ কোটি টাকা কুমারখালীর রোড ডিভাইডার যেন মৃত্যুর ফাঁদ: প্রতিনিয়ত ঘটছে দূর্ঘটনা আজহারুল ইসলাম অগ্রণী ইন্স্যুরেন্সের নতুন মুখ্য নির্বাহী কুড়িগ্রামে বিজিবি’র অভিযানে এক সপ্তাহে সোয়া ২ কোটি টাকার মাদক জব্দ হুন্ডি ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করতে হবে: চসিক মেয়র ছয় মাসে গ্রেপ্তার ১১৩২৩, মামলা নিষ্পত্তি ৫৫৫৮ শ্রীবরদীতে মেধাবী শিক্ষার্থী সুবর্ণার পাশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কুড়িগ্রামে বসতবাড়ির পিছনের গাছ থেকে ১০ ফুট দৈর্ঘ্যের অজগর সাপ উদ্ধার প্রশিক্ষা ধরণীগঞ্জ শাখার কিস্তি অফিসার আজম ইসলামের অনৈতিক প্রস্তাব: ভুক্তভোগীর পরিবার ক্ষোভে ফেটে পড়েছে অনলাইনে চাকরি ও ব্যবসার প্রলোভনে কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল তারা
মিরপুরে সাত ভবনের ৮৫টি গ্যাস সংযোগই অবৈধ

মিরপুরে সাত ভবনের ৮৫টি গ্যাস সংযোগই অবৈধ

নিজস্ব প্রতিবেদক : মিরপুরের মাজার রোডে অবস্থিত বর্ধনবাড়ি। এই বাড়িতে ৩৬টি গ্যাসলাইনের সংযোগ দেওয়া আছে, যার ৩৫টিই অবৈধ। অর্থাৎ একটি বৈধ লাইনের মধ্য দিয়ে সব লাইন তৈরি করা হয়েছে। তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানির বিশেষ অভিযানে দেখা যায় বর্ধনবাড়ির এই চিত্র।

গতকাল বুধবার তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানি অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার এক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। ঢাকা জেলার ম্যাজিস্ট্রেট দিদারুল ইসলামের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করেন মিরপুর তিতাস জোনের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী শাহিদুর রহমান।

সারা দিনের অভিযানে সাতটি ভবনের গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এই সাতটি ভবনে ১০৯টি গ্যাস সংযোগের মধ্যে শুধু ২৪টি ছিল বৈধ। ৮৫টি গ্যাস সংযোগ অবৈধভাবে দেওয়া হয়েছে। অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার কারণে ভবনগুলোর মালিকদের এক লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ঢাকা জেলা মেজিস্ট্রেট।

অভিযানের প্রথমেই তাঁরা বর্ধনবাড়িতে প্রবেশ করেন। এ সময় ৩৫টি গ্যাসলাইনই অবৈধ বলে প্রমাণ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিতাস গ্যাসের পক্ষ থেকে বাড়ির সব গ্যাসলাইন বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। অন্যদিকে ঢাকা জেলার ম্যাজিস্ট্রেটের পক্ষ থেকে অবৈধ গ্যাসলাইন ব্যবহার করার কারণে বাড়ির জমির মালিক সৌরভ আহমেদকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এই জরিমানা পরিশোধ করতে না পারলে অনাদায়ে ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের কথা জানান ঢাকা জেলার ম্যাজিস্ট্রেট দিদারুল ইসলাম।

এর পরই শুরু হয় হট্টগোল। বাড়ির মালিকদের পক্ষ থেকে গ্যাসের বিল প্রদানের স্লিপ দেখানো হয়। স্লিপে দেখা যায়, ওই বাড়ির প্রতিটি ফ্ল্যাটের গ্যাসের বিল বাড়িটির ডেভেলপার কম্পানি গ্রহণ করেছে। প্রতিটি ফ্ল্যাটের মালিকের কাছে এই কম্পানিতে দেওয়া টাকার বিলের রসিদ রয়েছে। কারো কাছেই তিতাস গ্যাসের বিলের রসিদ নেই। এ বিষয়ে জানতে চাইলে জমির মালিক সৌরভ আহমেদ বলেন, ‘২০১৯ সাল থেকে আমরা ডেভেলপার কম্পানিকে বিল দিয়ে আসছি। আমরা যতবার তিতাসের বিলের কাগজের কথা বলছি ততবারই বলছে ওইগুলো কম্পানির কাছে আছে। আমরা কেন এখন দায়ভার নেব? আপনারা কম্পানিকে ধরেন।’

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com