বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৪৯ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: বল ট্যাম্পারিং অর্থাৎ অবৈধভাবে বলের আকৃতি বদলের সাথে জড়িত থাকার অপরাধে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্টিভ স্মিথকে এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল বা আইসিসি।
কিন্তু এই নিষেধাজ্ঞা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। শুধু স্মিথই নয়, সহ-অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারের ক্রিকেটে কেরিয়ারও চরম হুমকির সামনে পড়েছে।
অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের বিভিন্ন মিডিয়া ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার আচরণবিধি উল্লেখ করে লিখছে – স্মিথ এবং ওয়ার্নার দুজনেই এমনকী আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ হতে পারেন।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার আচরণবিধিতে প্রতারণার শাস্তি হিসাবে আজীবন নিষেধাজ্ঞার কথা রয়েছে।
তাৎক্ষণিক তদন্তের ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া অর্থাৎ অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট বোর্ডের আচরণবিধির প্রধান ইয়ান রয়ের আজই (সোমবার) দক্ষিণ আফ্রিকায় পৌঁছুনর কথা। তার সাথে থাকছেন দলের পারফরমেন্স বিষয়ক কর্মকর্তা প্যাট হাওয়ার্ড।
এরা দুজন দলের কোচিং স্টাফ এবং খেলোয়াড়দের সাথে কথা বলে বোঝার চেষ্টা করবেন, বল ট্যাম্পারিংয়ের ব্যাপারে কে কি জানতো।
কোচ ড্যারেন লেম্যান এ ব্যাপারে এখনো মুখ খোলেননি। তকে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকে বরা হয়েছে দলের সিনিয়র কয়েকজন ক্রিকেটার মিলে হয়তো এই ষড়যন্ত্র করেছিলেন।
অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষ দৈনিক সিডনি মর্নিং হেরাল্ড কয়েকজন সিনিয়র খেলোয়াড় – জোশ হেজেলউড, মিচেল স্টার্ক এবং নেথান লিওনকে উদ্ধৃত করে লিখেছে – তারা ঐ ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে কিছুই জানতেন না। দলের কী হবে – এ নিয়ে প্রচণ্ড হতাশায় ভুগছেন এই তিন বোলার।
অস্ট্রেলিয়ার সরকার যেমন এই ঘটনায় প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়েছে, সেই সাথে সাবেক তারকারা সহ অস্ট্রেলিয়ার মিডিয়া দৃষ্টান্তমুলক শান্তির জন্য চাপ বাড়িয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ওপর। অনেক ক্রিকেট ভাষ্যকার স্মিথ ও ওয়ার্নারের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি অর্থাৎ আজীবন নিষেধাজ্ঞার পরামর্শ দিয়েছেন।
তবে লন্ডনের টেলিগ্রাফ পত্রিকার ক্রিকেট ভাষ্যকার নিক হোল্ট বলছেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার আচরণ বিধিতে প্রতারণার শাস্তি হিসাবে আজীবন নিষেধাজ্ঞার কথা থাকলেও এটির বাস্তব প্রয়োগ হয়তো ম্যাচ ফিক্সিংয়ের মত অপরাধের ক্ষেত্রেই হতে পারে।