কিছুদিন আগে আফরোজাদের নীলফামারীর ডোমারে গ্রামের বাড়িতে এক কোটি টাকার কাবিন করা হয়।গ্রেপ্তারকৃতরা পুলিশকে জানায়, আফরোজাকে হত্যার পর ওই দিনই তাঁর লাশ মাটিচাপা দেওয়া হয় বাশার পাশে। এরপর আশরাফুল তড়িঘড়ি করে কানাডা চলে যান। আফরোজার পরিবারের সদস্যরা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে দক্ষিণখানে তাঁর শ্বশুরবাড়িতে খোঁজ নেন। কিন্তু শ্বশুরপক্ষ কোনো খোঁজ দিতে পারেনি। পরে গত সোমবার আফরোজার ভাই আরিফুল ইসলাম দক্ষিণখান থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ওই জিডির সূত্র ধরেই তাঁর মরদেহের সন্ধান পায় পুলিশ। আশরাফুল ও আফরোজার এটি দ্বিতীয় বিয়ে। আগের ঘরে তাঁদের দুজনেরই সন্তান আছে। হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে পুলিশ জানায়।তদন্ত কর্মকর্তা রেজিয়া খাতুন বলেন, ‘গত ২৯ মে বহুবার আফরোজাকে ফোন করে কোনো সাড়া না পেয়ে তার বাবা ও ভাই নীলফামারী থেকে ঢাকায় আসেন। পরে আফরোজার নিখোঁজের বিষয়ে তার ভাই আরিফুল ইসলাম দক্ষিণখান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডির তদন্ত করতে গিয়ে রহস্য উদঘাটন হয়।’
এসআই রাজিয়া খাতুন বলেন, ‘৩০ মে জিডির দায়িত্ব পেয়ে আশরাফুলদের দক্ষিণখানের বাড়ি গিয়ে প্রথমে তার স্বজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তখন সবাই বলেন, তারা কিছুই জানেন না। তারা জানান, ছুটি শেষ হওয়ায় আশরাফুল কানাডায় চলে গেছেন। আফরোজা বনানীতে যাওয়ার কথা বলে বের হওয়ার পর থেকে তার সন্ধান তারা পাচ্ছেন না। পরে হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও কলে কানাডায় আশরাফুলের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এর এক পর্যায়ে আশরাফুল তাকে বলেন, আপনি এই মরদেহ উদ্ধার করে বুড়িগঙ্গায় ফেলে দেবেন। কেউ যেন কিছু বুঝতে না পারে। আপনাকে নগদ ১৫ লাখ টাকা দেব এবং আপনার পরিবারে দুজনকে কানাডায় নিয়ে আসব।’
তিনি আরো বলেন, ‘পরদিন আশরাফুলের খালা ফোন দিয়ে তাকে একা যেতে বলেন এবং আশরাফুল তার সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান। পরে ওই বাসায় গিয়ে আশরাফুলের সঙ্গে কথা বলে আফরোজার কবরের সন্ধান মেলে।’