রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৯ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
মোহাম্মদপুরে সন্ত্রাসী রহিম ও তার ছেলের অত্যাচার নির্যাতনে অসহায় এলাকাবাসী উত্তরা ব্যাংকের এমডি রবিউল হোসেনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অপসারনের দাবিতে রাজপথে বিল্পবী ছাত্র জনতা ইসরায়েলি বর্বর হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়াকে দেখে কেঁদে ফেললেন মির্জা ফখরুল সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে ওসমানী জাতীয় স্মৃতি পরিষদ-এর বিশেষ বাণী জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সদস্য হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা খ. ম. আমীর আলী ছাত্র বৈষম্য আন্দোলনে আহতদের জন্য আর্থিক সহায়তা নিয়ে পাশে বিএনপি নেতা মোঃ সাইফুল ইসলাম নরসিংদীর মনোহরদীতে প্রথমবারের মতো বিজ্ঞানক্লাব ‘নেবুলাস’-এর যাত্রা শুরু প্রথমবারের মতো সচিবালয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস গার্মেন্টস ব্যবসায়িদের নিঃস্ব করে কোটি টাকা প্রতারণা করে লাপাত্তা কৃষক লীগ নেতা হান্নান শেখ!
ছেলের সঙ্গেই মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছেন ৪৪ বছরের নারী!

ছেলের সঙ্গেই মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছেন ৪৪ বছরের নারী!

৪৪ বছর বয়সী নারী রজনি বালা দেবী। শিক্ষাগ্রহণের ক্ষেত্রে বয়স যে সমস্যা নয়, প্রমাণ দিলেন তিনি। রজনি বালা চলতি বছরে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছেন তার ছেলের সঙ্গে। ভারতের লুধিয়ানার বাসিন্দা তিনি।

জানা গেছে, দারিদ্রতার কারণে ১৯৮৯ সালে লেখাপড়া ছেড়ে দিতে হয়েছিল রাজনি বালাকে। সে বছরে তিনি নবম শ্রেণী পাস করে দশম শ্রেণীতে উঠেছিলেন। কিন্তু পারিবারিক চাপের কারণে ১৯৮৯ সালেই বিয়ে হয়ে যায় রজনি বালার।

এখন তিনি তিন সন্তানের জননী। কিন্তু মনের মধ্যে রয়ে গেছে লেখাপড়া শেষ করার অদম্য ইচ্ছা, অন্তত মাধ্যমিক পরীক্ষাটুকু পাস করতেই হবে। সে কারণে প্রায় তিন দশক পরে ফের পরীক্ষা দিতে বসেছেন রজনি।

তিনি বলেন, ‘অনেক বছর ধরেই আমার স্বামী আমাকে লেখাপড়া শেষ করার কথা বলছিলেন। আমার তিন ছেলেমেয়ে লেখাপড়া করেছে। আমি একটা হাসপাতালের কর্মী। এই অবস্থায় আমার মনে হয়েছিল, মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়াটা জরুরি। তারপর আমার ছেলের সঙ্গেই লেখাপড়া শুরু করি।

রজনি বালা জানান, ছেলের সঙ্গেই নিয়মিত স্কুলে গেছেন তিনি। এখনও একই সঙ্গে পরীক্ষাকেন্দ্রে যাচ্ছেন। স্বামী-শাশুড়ি এবং সন্তানদের সাহায্য ছাড়া তার লেখাপড়ার স্বপ্ন সফল হতো না।

তিনি বলেন, ‘আমার শাশুড়ি নিজে লেখাপড়া না জানলেও আমায় সবসময় উৎসাহ জুগিয়েছেন। ভোরে ঘুম থেকে উঠে আমাকে আর ছেলেকে পড়িয়েছেন আমার স্বামী। স্নাতক স্তরের পাঠ শেষ করার ইচ্ছে রয়েছে।’

এদিক, রজনির স্বামী রাজ কুমার জানান, বর্তমান সময়ে লেখাপড়া করা অত্যন্ত জরুরি। তিনি বলেন, ‘লক্ষ্য পূরণে বয়স কোনো বাধা নয়। আমি ১৭ বছরের ব্যবধানে স্নাতকের পড়া শেষ করেছিলাম। আমি পারলে আমার স্ত্রী কেন পারবে না?’

সূত্র: জি-নিউজ

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com