শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৪৯ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
প্রত্যেক থানায় সিটিজেন ফোরাম গঠন করছে ঢাকা মহানগর পুলিশ ‘আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি’ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল জুয়া খেলায় বাধা, মালিককে মেরে মাটিতে পুঁতে ঢালাই করে কর্মচারীরা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধারা স্বেচ্ছায় সরে গেলে সাধারণ ক্ষমা পাবেন: উপদেষ্টা ফারুক পূর্ব শত্রুতার জেরে নিরিহ পরিবারের উপর হামলা ও বসতবাড়ী ভাঙচুর-লুটপাট হজ্ব করে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দূর্ঘটনায় শিশুসহ ৪ জন নিহত, আহত ৬ দেশে টিকার উপযুক্ত ৯৩ শতাংশ মেয়ে পেয়েছে এইচপিভি টিকা পশ্চিম থানা কমিটির সদস্যদের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত গাজীপুরের প্রবীণ সাংবাদিক নজরুল ইসলাম বাদামীর কবর জিয়ারত চাপ বাড়ল বাংলাদেশি পর্যটকদের: রুম ভাড়া দেবে না শিলিগুড়ির হোটেলগুলো
প্রত্যন্ত সুন্দরবনে হিন্দু যুবকের উদ্যোগে তৈরী হচ্ছে কবরস্থান

প্রত্যন্ত সুন্দরবনে হিন্দু যুবকের উদ্যোগে তৈরী হচ্ছে কবরস্থান

কুতুব উদ্দিন মোল্লা,গোসাবা প্রতিনিধি: প্রচলিত কথায় রয়েছে ‘সুখ স্বপনে,শান্তি শ্মশানে’।মৃত্যুর পরও শান্তি পেতেন না এলাকার মানুষজন। প্রত্যন্ত সুন্দরবন। গোসাবা ব্লকের বালি ১ পঞ্চায়েতের বিরাজ নগর গ্রাম। রয়েছে সর্ব ধর্মের হাজার হাজার মানুষের বসবাস।বিভিন্ন সময়ে মানুষের মৃত্যুর পর সৎকার করতে সমস্যা পোহাতেই হতো।

অগত্যা নিরুপায় হয়ে নদীর পাড়ে মাটি খুঁড়ে মৃতদেহ পুঁতে দিতেন কিংবা পুড়িয়ে দিতেন। আবার কখনওবা নদীর জলে ফেলে দিতেন।ফলে মৃত্যুর পরও যন্ত্রণা থেকে মুক্তি ছিল না। এতে করে একদিকে দূষণ যেমন বাড়ছিল, তেমনই সমস্যা হচ্ছিল মৃতদেহ সৎকার নিয়ে এমনকি বাড়ছিল মানসিক যন্ত্রণা।এমত অবস্থায় বিগত দিনে হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষের জন্য নতুন শ্মশান তৈরী করে উপহার দিয়েছিলেন এলাকার সমাজসেবী যুবক তথা সুন্দরবন ফাউন্ডেশানের কর্ণধার প্রসেনজিৎ মন্ডল।

শুধু শ্মশান নয়। রীতিমতো শ্মশানে একটি কালি মন্দির ও প্রতিষ্ঠা করেন।এবার উদ্যোগ গ্রহণ করলেন কবরস্থান গড়ে তোলার জন্য।সম্প্রতি সেই কাজ শুরু করেছেন সমাজসেবী প্রসেনজিৎ মন্ডল।বিরাজ নগর গ্রামে মুসলীম ধর্মাবলম্বী মানুষ মারা গেলে কবর দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কোন কবর স্থান ছিল না।বিরাজ নগর গ্রাম সংলগ্ন বিদ্যাধরী নদীর তীরে কবর স্থান তৈরীর কাজ শুরু করেছেন।এছাড়াও কবর স্থানে যাতায়াতের জন্য যাতে কোনরুপ সমস্যা না হয়, ইতিমধ্যে প্রসেনজিৎ মন্ডলের একক উদ্যোগে ইট পেতে রাস্তা তৈরীর কাজও শুরু হয়েছে। সমাজসেবী প্রসেনজিতের এমন মহান উদ্যোগ কে সর্বস্তরের মানুষজন প্রশংসা করেছেন।

ঘটনা প্রসঙ্গে প্রসেনজিৎ জানিয়েছেন, একদিকে রামকৃষ্ণ দেবের বাণী ‘যত মত,তত পথ। আল্লা ঈশ্বর সবই এক’। আবার কবি নজরুল ইসলামের ‘একই বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু মুসলমান’। মহাপুরুষদের সেই আপ্তবাক্য বাস্তবে প্রতিফলিত করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আগামী দিনে সুন্দরবনের মানুষের জন্য আরো সমাজসেবামূলক কাজ করে যাবো

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com