সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৫১ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর কাকরাইল আগুরাগলি এলাকায় মজুমদার ভিলা—৯৪ নং আবাসিক ভবন রাজুউক এর নকশা না মেনে বহুতল ভবন নির্মাণ। রাজধানী ঢাকায় হিড়িক পড়েছে। যততত্র গড়ে উঠছে অট্টালিকা। মানা হচ্ছে না উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নিয়ম— নীতিমালা। এক্ষেত্রে স্বেচ্ছাচারী ভূমির মালিকরা। আরো বেপরোয়া ডেভেলপার কোম্পানিগুলো।
নিয়ম বহির্ভূত এ কাজে নেপথ্যে থেকে সহায়তা করেন কিছু অসাধু কর্মকর্তা। তাদের পেছনে কিছু অর্থ খরচ করেই বাড়ির মালিক ও নির্মাতারা শাহেন শাহ বনে যান; কারণ কলকাটি নাড়ান ওই অসাধু কর্মকর্তারা। এক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের তদারকি থাকে নামমাত্র। ফলে, ইচ্ছাধীন ভবন নির্মাণ করায় দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। নির্মাণ অবস্থায় অনেক ভবন হেলে পড়ছে। কিংবা নির্মাণের পর পরই ধসে পড়ছে কিছু ভবন। এর ধারাবাহিকতায় রাজধানী কাকরাইল রাজউক-এর নকশা না মেনে বহুতল ভবন নির্মাণ করেছে কাকরাইল আগুরাগলি এলাকায় মজুমদার ভিলা।
উক্ত বিষয়টি অবগতির প্রসঙ্গে গত ২৯-০৩-২০২৩ ইং তারিখে আব্দুর রহমান ও আলোর ছোঁয়া মানব কল্যাণ সোসাইটি কর্তৃক সরকার জামাল নামক দুই ব্যক্তি রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজউক চেয়ারম্যান বরাবর দুটি আলাদা আলাদা লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, কাকরাইল আগুরাগলি এলাকায় মজুমদার ভিলা—৯৪ নং আবাসিক ভবনটি রাজউক এর নকশা বহির্ভুতভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। এই আবাসিক ভবনটি রাজউকের প্লান ১৫/০৩/১৯৯৯সালে ৮ তলার অনুমোদন থাকলেও মালিক কর্তৃপক্ষ এগারো তলা নির্মাণ করেছেন যাহার অরজিনাল নকশা নাম্বার হলো ১৫/০৩/১৯৯৯সন স্মারক নং রাজউক /নঅঅ ৫৬৫/৯৯/৬৬৮ এছাড়াও ভবনটির নিচের তলায় একটি টি,এন,টি এক্সচেঞ্জ এর অফিস ভাড়া দেওয়া হয়েছে যা আবাসিক ভবন এবং বসবাসরত সকল মানুষের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি বহন করে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে আশঙ্কা ভবনে স্থানীয় বসবাসরত ক্রয় সূত্রে ফ্লাটের মালিকদের ভবনটিতে বসবাসরত বাসিন্দাদের পক্ষে আব্দুর রহমান রাজউক চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। এবং গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন এই ভবনে ৩০ টি ফ্লাট রয়েছে এর মধ্যে ১৬ টি বৈধ ফ্লাট বিক্রি করেছেন।
ক্রেতা মালিক পক্ষ হলেন: (১) এডভোকেট ইব্রাহিম মোল্লা (২) প্রফেসর তাইজুল ইসলাম (৩) এস কে মজিবুর রহমান (৪) আমিনুল ইসলাম (৫) ডিজি তাইজুল ইসলাম (৬) শওকত (৭) স্বপন (৮) বিগেডিয়ার রফিকুল ইসলাম(৯) বিপ্লব নক্তি (১০) বিমল নক্তি গং ফ্লাট মালিকরা বলেন উল্লেখিত মজুমদার ভিলায় মোট (৩০) টি ফ্লাট রয়েছে এর মধ্যে (১৬ ) টি ফ্লাট ৮ তলা ভবন থাকা অবস্থায় আমরা ফ্ল্যাট ক্রয় করেছি পরবর্তীতে ভবন মালিক অনিয়মের মধ্য দিয়ে আরো তিন তলা নির্মাণ করেছেন আমরা প্রতিনিয়ত ঝুঁকির মধ্যে বসবাস করিতেছি এবং আতঙ্কের মধ্য দিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবন যাপন করতেছি ।এ বিষয়ে ভবন মালিক মজুমদার এর মুঠো ফোনে কথা বললে তিনি বলেন আমি আবাসিক ভবন ১১তলা নির্মাণ করেছি কিন্তু রাজউকের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে ও তাদের পরামর্শ অনুযায়ী ১১ তলা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।
ওই বিল্ডিং এর মালিকদের পক্ষে আব্দুর রহমান দায়িত্ব প্রাপ্ত হয়ে এবং আলোর ছোঁয়া মানব কল্যাণ সোসাইটির পক্ষ থেকে জনস্বার্থে সরকার জামাল রাজউক চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত আবেদন করেন। আবেদনের পরে বিশ্বজিৎ পরিদর্শন করেন । পরবর্তিতে ফাইল চলে আসে ইমারত পরিদর্শক সুব্রত এর কাছে তিনি বিল্ডিং ভাজ্ঞার ব্যবস্থা করতেছেন বলেন । এর পরে ফাইল চলে আসে আইন শাখায়। আজ বিল্ডিং ভাজ্ঞা হবে কাল ভাজ্ঞা হবে পরশু ভাজ্ঞা হবে বলে সময় ক্ষেপন করে সুকুমার । ওদিকে অপর পক্ষ থেকে টাকা খেয়ে ওই পক্ষকে হাই — কোর্টে রিট করতে বলেন। এখন সুকুমার বলেন যেহেতু রিট হয়েছে আমার আর কিছু করার নাই। এ বিষয় বিশ্বজিৎ, সুব্রত ও সুকুমার বলেন আমরা ভালো মানুষ। এমত অবস্থায় যদি তারা ভাল মানুষ হয় অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত হয়ে প্রমাণিত হয় যে বিল্ডিং মালিক অবৈধভাবে তিন তলা অনিয়মভাবে ফ্ল্যাট করে বিক্রি করেছে । এদিকে বিল্ডিং মালিক ২০১৫ সালে ১০ তলার রাজউক অনুমোদন আছে বলে বিক্রি করেন দশটি ফ্লাট। আবার ২০১৭ সালে আটতালা ভবনের ছয় তালায় দুই টি এবং আট তলা দুইটি ফ্লাট বিক্রি করেন। সাধারণ জনগণ বলেন যে যদি বিল্ডিংটি দশ তলার অনুমোদন পেয়ে থাকে তাহলে ২০১৭ সালে কেন আর তলা বলে ফ্লাট বিক্রি করেন মানুষের মুখে মুখে কথা । এদিকে অভিযোগকারী এবং ফ্লাট মালিকগণ রাজক চেয়ারম্যান বরাবর জোরপূর্বক দাবি জানাচ্ছেন যে বিল্ডিংটি যদি দুর্ঘটনা ঘটে তাহলে দায়ভার কে নিবে । রাজউক না বিল্ডিং মালিক