রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ০২:৩৭ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
সরকারী খোলা থাকার নির্দেশ অমান্য করে তালা ঝুলছে নিকারিপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিএনপির রাজনীতি চলে আওয়ামী লীগের টাকায়: হাসনাত শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় প্রধান আসামির মৃত্যুদণ্ড সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি সহসভাপতি রানার পিতা টি এম মহশীনের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকীতে দোয়া মাহফিল উদয়ন আইডিয়াল স্কুলের বার্ষিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন সচেতনতা বাড়াতে ৮০০ ছাত্রীর মাঝে স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণ ইমান আকিদা ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা কায়েম করতে জামায়াতে ইসলামী আন্দোলন চালিয়ে যাবে: মাওলানা শাহজাহান তথ্য উপদেষ্টার মাথায় বোতল ছুড়ে মারা প্রসঙ্গে মুখ খুললেন সেই ছাত্র গাভী নিয়ে গেছে বিএনপি নেতা, বাছুর কোলে নিয়ে আদালতে নারী ডোমারে প্রি-পেইড মিটার বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ, ইউএনও’র কাছে স্মারকলিপি প্রদান
সরকারী খোলা থাকার নির্দেশ অমান্য করে তালা ঝুলছে নিকারিপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে

সরকারী খোলা থাকার নির্দেশ অমান্য করে তালা ঝুলছে নিকারিপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে

দুপুর ১২ টার সময়  ৫০ নং নিকারিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তালা ঝুলছে 

বিশেষ প্রতিনিধি মোঃ শফিকুল ইসলাম (শফিক):

ঈদুল আযহা উপলক্ষে সরকার ঘোষিত বিশেষ প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ১৭ মে (শনিবার) দেশের সব সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকার কথা থাকলেও ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার ৫০ নং নিকারিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চিত্র ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন।

১৭ মে ২০২৪ সকাল ১১টায় বিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা ঝুলতে দেখা যায়। শিক্ষার্থী কিংবা শিক্ষক কারোরই উপস্থিতি ছিল না। স্থানীয়রা জানান, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ এসএম সেলিম দীর্ঘদিন ধরে বরিশাল থেকে যাতায়াত করেন এবং প্রায়ই বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকেন। অনিয়ম নিয়ে কেউ মুখ খুললে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
বেলা ১২টার দিকে সহকারী শিক্ষক ফেরদৌস সরদার বিদ্যালয়ে আসেন এবং জানান, “সকালে আমরা হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে চলে গিয়েছি।” দুপুর ১২:৫৮ মিনিটে বিদ্যালয়ের চাবি নিয়ে হাজির হন দপ্তরি মোঃ দেলোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, “স্যারেরা না থাকলে আমি একা কি করবো।

প্রধান শিক্ষক এসএম সেলিম দুপুর ১টার দিকে বিদ্যালয়ে এসে জানান, “সকালে এসে হাজিরা দিয়ে আমি মেয়েকে বরিশাল সদর গার্লস স্কুল থেকে বাসায় দিয়ে এসেছি, এখন এসে পৌঁছেছি।

তার এমন দায়সারা উত্তরে ক্ষুব্ধ হন অভিভাবকরা। এসময় অভিভাবক এরশাদ আলী অভিযোগ করেন, “প্রধান শিক্ষকের স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়মের কারণে আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।”
স্থানীয় অভিভাবক মেহেদি হাসান বলেন, “স্কুলে ভবন আছে কিন্তু শিক্ষা নেই। বাধ্য হয়ে সন্তানদের অন্যত্র পড়াচ্ছি, যদিও এই স্কুল আমাদের বাড়ির একদম পাশে।”
পরে বিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে অভিভাবকরা প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাদের অভিযোগ, নিয়মিত উপস্থিতি না থাকা, দায়িত্বে অবহেলা ও অনিয়মের মতো নানা অভিযোগ রয়েছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান জানান, আমরা অভিযোগের বিষয়টি জানতে পেরেছি। যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com