সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৮ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
হরিপুরে গ্রামবাংলার ঝোপঝাড় হতে বিলুপ্তির পথে কুচফল ওয়াজের মাঠ কাপানো আর নারীদের খাট কাপানো হুজুর মুফতি মুহাম্মদ শফিকুজ্জামান দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় ৮০০ নেতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে: রিজভী নির্বাচন কবে, সেই ঘোষণা হবে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকেই : প্রেস উইং মোহাম্মদপুরে সন্ত্রাসী রহিম ও তার ছেলের অত্যাচার নির্যাতনে অসহায় এলাকাবাসী উত্তরা ব্যাংকের এমডি রবিউল হোসেনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অপসারনের দাবিতে রাজপথে বিল্পবী ছাত্র জনতা ইসরায়েলি বর্বর হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়াকে দেখে কেঁদে ফেললেন মির্জা ফখরুল সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে ওসমানী জাতীয় স্মৃতি পরিষদ-এর বিশেষ বাণী জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সদস্য হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা খ. ম. আমীর আলী
কোটার বিরুদ্ধে সংগ্রাম তরুণদের জয় অনিবার্য’

কোটার বিরুদ্ধে সংগ্রাম তরুণদের জয় অনিবার্য’

ভিশন বাংলা ডেস্ক: কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ-এ একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল।

পাঠকদের জন্য তা হুবহু তুলে ধরা হলো:

তিনি লিখেছেন- কোটা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অবমাননাকর এবং দূর্নীতি লালনকারী একটি বিষয়। এর বিরুদ্ধে বহুবার লিখেছি আমি। কোটার বিরুদ্ধে দাঁড়ানো মানে ন্যায় এবং জীবিকার অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম। এই সংগ্রামে এদেশের তরুন সমাজের জয় অনিবার্য বলে আমি বিশ্বাস করি।

সহিংসতা থেকে দুরে থাকুন, ঐক্য ধরে রাখুন, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে রাখুন। এই আন্দোলন নিয়ে যেন কেউ বিভ্রান্তি ছড়াতে না পারে সেজন্য কৌশলী এবং সজাগ থাকুন।

তিনি আরো লিখেছেন- ১৯৭২ সালের সংবিধানে মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা সম্পর্কে কিছু বলা নেই। এই সংবিধান প্রণীত হয়েছিল যে গণপরিষদে, সেখানে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য চাকরিতে কোটা প্রদানের কথা উত্থাপিতই হয়নি।
গণপরিষদে কেবল সংবিধানের ১৫ অনুচ্ছেদের অধীনে নাগরিকদের সামাজিক নিরাপত্তা প্রদান প্রসঙ্গে পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা ও নিহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয় (বাংলাদেশ গণপরিষদের বিতর্ক, দ্বিতীয় খণ্ড, ১৯৭২, পৃষ্ঠা ৪৭০-১)।

সামাজিক নিরাপত্তার উদার ব্যাখ্যা করলে শুধুমাত্র পঙ্গু বা নিহত মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের জন্য চাকরিতে কোটা সংরক্ষণ বৈধ হতে পারে, অন্যদের জন্য নয়। জনসংখ্যার অনুপাতে এই কোটা হতে পারে বড়জোর ১ শতা‌ংশ। বাকী ৯ শতাংশ হতে পারে নারী, প্রতিবন্ধী আর ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য।

কোটা কোনভাবেই মোট চাকরীর ১০ শতাংশের বেশী হোয়া উচিত না। উচিত না কোটা পুরন না হলে পদ শুন্য রেখে দেয়া। মুক্তিযোদ্ধারা এজাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদের সম্মানিত করতে হবে অন্যভাবে। আমি দৃঢভাবে বিশ্বাস করি, ঢালা কোটা বরং অসম্মানিত করে তাদের।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com