সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩১ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় ৮০০ নেতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে: রিজভী নির্বাচন কবে, সেই ঘোষণা হবে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকেই : প্রেস উইং মোহাম্মদপুরে সন্ত্রাসী রহিম ও তার ছেলের অত্যাচার নির্যাতনে অসহায় এলাকাবাসী উত্তরা ব্যাংকের এমডি রবিউল হোসেনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অপসারনের দাবিতে রাজপথে বিল্পবী ছাত্র জনতা ইসরায়েলি বর্বর হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়াকে দেখে কেঁদে ফেললেন মির্জা ফখরুল সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে ওসমানী জাতীয় স্মৃতি পরিষদ-এর বিশেষ বাণী জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সদস্য হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা খ. ম. আমীর আলী ছাত্র বৈষম্য আন্দোলনে আহতদের জন্য আর্থিক সহায়তা নিয়ে পাশে বিএনপি নেতা মোঃ সাইফুল ইসলাম নরসিংদীর মনোহরদীতে প্রথমবারের মতো বিজ্ঞানক্লাব ‘নেবুলাস’-এর যাত্রা শুরু
সরকারের কাছে নিজেদের নিরাপত্তা দাবি আন্দোলনকারীদের

সরকারের কাছে নিজেদের নিরাপত্তা দাবি আন্দোলনকারীদের

নিজস্ব প্রতিবেদকসরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী সংগঠনের তিন নেতা ফিরে এলেও তারা ‘ভীত’ বলে জানিয়ে বলেছেন, যে প্রক্রিয়ায় তাদের ধরে নেওয়া হয়েছে, সেটার দরকার ছিল না। তাদেরকে জানালে নিজেরাই গিয়ে তথ্য দিয়ে আসতেন।

এছাড়া চোখ বেঁধে ডিবি কার্যালয়ে তুলে নেয়ার ঘটনার পর নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়ে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতারা জানান, সরকারের কাছে অনুরোধ কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের এবং তাদের পরিবার পরিজনদের নিরাপত্তা দেওয়া হোক। আমরা ১০০ ভাগ নিরাপত্তা ঝুঁকিতে আছি।

আজ সোমবার ডিবি কার্যালয় থেকে ফিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান তারা।

সোমবার বেলা দেড়টার দিকে কোটা সংস্কারে আন্দোলন করা সংগঠন ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের’ তিন যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান, ফারুক হাসান এবং নুরুল ইসলাম নুরুকে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বেলা পৌনে তিনটায় মিন্টু রোডে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা কার্যালয় থেকে ছেড়ে দেয়া হয় তাদের।

এরপর বেলা চারটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনজন।

সরকারি চাকরিতে কোটা ৫৬ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার দবিতে গত ৮ এপ্রিল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয় শাহবাগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়। আর তীব্র আন্দোলনের মুখে ১২ এপ্রিল সংসদে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো কোটার দরকার নেই।’

সরকার প্রধানের এই ঘোষণায় আন্দোলন থামলেও সোমবার একটি জাতীয় দৈনিকে কোটা আন্দোলনের চার নেতাকে নিয়ে করা প্রতিবেদনে আবার ক্ষুব্ধ হয় আন্দোলনকারীরা। এই প্রতিবেদনে চার শীর্ষ নেতার শিবির সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তোলা হয়।

এই প্রতিবেদনকে অপপ্রচার দাবি করে দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন আন্দোলনকারী নেতারা। এরপর বেলা দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে থেকে তিনজনকে ধরে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ।

গোয়েন্দা কার্যালয় থেকে ফিরে নুরুল ইসলাম নুর জানান, গুলিস্তানে নিয়ে তার চোখ বেঁধে ফেলা হয়। এরপর চোখ খুলে দেখেন তিনি গোয়েন্দা কার্যালয়ে।

সেখানে গোয়েন্দারা কী বলেছেন, সেটাও জানান নুর। বলেন, ‘আমাদেরকে বলা হয়েছে, তোমাদের ওপর হামলা হতে পারে তাই তোমাদের এখানে নিয়ে আসা হয়েছে। তোমাদের একটা ভিডিও দেখাব। তবে ভিডিও দেখানো হয়নি।’

ফারুক হাসান বলেন, ‘আমাদের তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় তাদের সবার হাতে রিভলবার ছিল। তাদের সঙ্গে ছিল সাত থেকে আটটি বাইক এবং দুটি কালো গ্লাসের গাড়ি।’

নুর বলেন, ‘আমি পানি চাইলে এক গ্লাস পানিও দেওয়া হয়নি। পরে আমাদেরকে বলে তোমরা চলে যাও, পরে দরকার হলে তোমাদের আবার আসতে হবে।’

এভাবে তুলে নেয়ার দরকার ছিল না জানিয়ে ফারুক বলেন, ‘আমাদের কাছে তথ্য চাইলে আমরা তাদের সঙ্গে গিয়ে তথ্য দিয়ে আসতাম। কিন্তু এভাবে চোখ বন্ধ করে তুলে নিয়ে যাওয়া হলো কেন?’

নুর বলেন, ‘ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করতে এসে আজ একদিকে আমরা হত্যার হুমকি পাচ্ছি অন্যদিকে পুলিশও আমাদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে।’

নিজের জীবন নিয়ে শঙ্কার কথাও জানান নুর। বলেন, ‘আমাদের এখান থেকে কাউকে মেরে ফেলাও অসম্ভব কিছু না। তাই বলছি, ন্যায়ের জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে আমাদের মৃত্যু হলেও তোমরা ন্যায়ের পক্ষে আন্দোলন চালিয়ে যাবে।’

‘ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে অসুস্থ আন্দোলনকারীদের দেখতে গেলে অনেক মানুষের সামনে থেকে তুলে নেওয়ায় হয়ত আমরা বেঁচে ফিরতে পেরেছি। তবে সামনে অন্য কোনও জায়গা থেকে তুলে নিয়ে গেলে আমাদের কে বাঁচাবে?’

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com