শনিবার, ২৭ Jul ২০২৪, ১১:২৪ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
শেখ এশিয়া লিমিটেডের জায়গা-জমির কিছু অংশ জোর পূর্বক দখল করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন বেনজীর দোষী সাব্যস্ত হলে দেশে ফিরতেই হবে: কাদের কথা, কবিতা,সংগীত ও নৃত্যে রবীন্দ্র -নজরুল জয়ন্তী ১৪৩১ উদযাপন ডেঙ্গু : মে মাসে ১১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৬৪৪ প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব হতে পারে আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতা ফখরুল ইসলাম প্রিন্স নওগাঁর মান্দায় নিয়ম-বহির্ভূত রেজুলেশন ছাড়াই উপজেলার একটি প্রাথমিক স্কুলের টিন বিক্রির অভিযোগ আর্তনাদ করা সেই পরিবারের পাসে IGNITE THE NATION ঘূর্ণিঝড় রেমালের তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত শরণখোলা ও সুন্দরবন নওগাঁর শৈলগাছী ইউনিয়ন পরিষদের ২০২০০৪-২০২৫ অর্থবছরের উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা নরসিংদী মেহেরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানকে কুপিয়ে হত্যা
সরকারের কাছে নিজেদের নিরাপত্তা দাবি আন্দোলনকারীদের

সরকারের কাছে নিজেদের নিরাপত্তা দাবি আন্দোলনকারীদের

নিজস্ব প্রতিবেদকসরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী সংগঠনের তিন নেতা ফিরে এলেও তারা ‘ভীত’ বলে জানিয়ে বলেছেন, যে প্রক্রিয়ায় তাদের ধরে নেওয়া হয়েছে, সেটার দরকার ছিল না। তাদেরকে জানালে নিজেরাই গিয়ে তথ্য দিয়ে আসতেন।

এছাড়া চোখ বেঁধে ডিবি কার্যালয়ে তুলে নেয়ার ঘটনার পর নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়ে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতারা জানান, সরকারের কাছে অনুরোধ কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের এবং তাদের পরিবার পরিজনদের নিরাপত্তা দেওয়া হোক। আমরা ১০০ ভাগ নিরাপত্তা ঝুঁকিতে আছি।

আজ সোমবার ডিবি কার্যালয় থেকে ফিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান তারা।

সোমবার বেলা দেড়টার দিকে কোটা সংস্কারে আন্দোলন করা সংগঠন ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের’ তিন যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান, ফারুক হাসান এবং নুরুল ইসলাম নুরুকে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বেলা পৌনে তিনটায় মিন্টু রোডে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা কার্যালয় থেকে ছেড়ে দেয়া হয় তাদের।

এরপর বেলা চারটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনজন।

সরকারি চাকরিতে কোটা ৫৬ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার দবিতে গত ৮ এপ্রিল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয় শাহবাগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়। আর তীব্র আন্দোলনের মুখে ১২ এপ্রিল সংসদে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো কোটার দরকার নেই।’

সরকার প্রধানের এই ঘোষণায় আন্দোলন থামলেও সোমবার একটি জাতীয় দৈনিকে কোটা আন্দোলনের চার নেতাকে নিয়ে করা প্রতিবেদনে আবার ক্ষুব্ধ হয় আন্দোলনকারীরা। এই প্রতিবেদনে চার শীর্ষ নেতার শিবির সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তোলা হয়।

এই প্রতিবেদনকে অপপ্রচার দাবি করে দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন আন্দোলনকারী নেতারা। এরপর বেলা দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে থেকে তিনজনকে ধরে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ।

গোয়েন্দা কার্যালয় থেকে ফিরে নুরুল ইসলাম নুর জানান, গুলিস্তানে নিয়ে তার চোখ বেঁধে ফেলা হয়। এরপর চোখ খুলে দেখেন তিনি গোয়েন্দা কার্যালয়ে।

সেখানে গোয়েন্দারা কী বলেছেন, সেটাও জানান নুর। বলেন, ‘আমাদেরকে বলা হয়েছে, তোমাদের ওপর হামলা হতে পারে তাই তোমাদের এখানে নিয়ে আসা হয়েছে। তোমাদের একটা ভিডিও দেখাব। তবে ভিডিও দেখানো হয়নি।’

ফারুক হাসান বলেন, ‘আমাদের তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় তাদের সবার হাতে রিভলবার ছিল। তাদের সঙ্গে ছিল সাত থেকে আটটি বাইক এবং দুটি কালো গ্লাসের গাড়ি।’

নুর বলেন, ‘আমি পানি চাইলে এক গ্লাস পানিও দেওয়া হয়নি। পরে আমাদেরকে বলে তোমরা চলে যাও, পরে দরকার হলে তোমাদের আবার আসতে হবে।’

এভাবে তুলে নেয়ার দরকার ছিল না জানিয়ে ফারুক বলেন, ‘আমাদের কাছে তথ্য চাইলে আমরা তাদের সঙ্গে গিয়ে তথ্য দিয়ে আসতাম। কিন্তু এভাবে চোখ বন্ধ করে তুলে নিয়ে যাওয়া হলো কেন?’

নুর বলেন, ‘ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করতে এসে আজ একদিকে আমরা হত্যার হুমকি পাচ্ছি অন্যদিকে পুলিশও আমাদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে।’

নিজের জীবন নিয়ে শঙ্কার কথাও জানান নুর। বলেন, ‘আমাদের এখান থেকে কাউকে মেরে ফেলাও অসম্ভব কিছু না। তাই বলছি, ন্যায়ের জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে আমাদের মৃত্যু হলেও তোমরা ন্যায়ের পক্ষে আন্দোলন চালিয়ে যাবে।’

‘ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে অসুস্থ আন্দোলনকারীদের দেখতে গেলে অনেক মানুষের সামনে থেকে তুলে নেওয়ায় হয়ত আমরা বেঁচে ফিরতে পেরেছি। তবে সামনে অন্য কোনও জায়গা থেকে তুলে নিয়ে গেলে আমাদের কে বাঁচাবে?’

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com