সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২৪ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি সুফিয়া কামাল হল থেকে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ছাত্রী বের করে দেয়ার প্রতিবাদে ওই ছাত্রীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হলে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে আল্টিমেটাম দিয়েছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। এই সময়ের মধ্যে ছাত্রীদের হলে ফেরত না নিলে কঠোর আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করা সংগঠনটি।
আজ শুক্রবার বিকেল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের সামনে জড়ো হয়ে এই হুঁশিয়ারি দেন সংগঠনটির নেতারা।
এর আগে আজ বিকাল সাড়ে চারটার দিকে একটি বিক্ষোভ বের করে ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থীকে নিয়ে বের হওয়া মিছিলটি শাহবাগের কাছে গিয়ে আবারো রাজু ভাস্কর্য চত্বরে ফিরে আসে। এর নেতৃত্ব দেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক নূরুল হক নূরু।
বিক্ষোভে ‘ছাত্রী নির্যাতনের’ প্রতিবাদে প্রশাসনের জবাব চেয়ে স্লোগান দেন অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা। ‘আমার বোন বাইরে কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘হলে হলে নির্যাতন কেন?’, ‘নিপীড়ন রুখে দাও’সহ বিভিন্ন ধরনের শ্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়া তাদের হাতে বিভিন্ন শ্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ডও আছে। হামলা করে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন শিক্ষার্থীরা।
অন্যদিকে রাজু ভাস্কর্যের উত্তর দিকে ফুটপাতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্সের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ অবস্থান নিয়েছে।
এসময় শিক্ষার্থীরা ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু, হলে হলে নির্যাতন বন্ধ কর করতে হবে, আমার বোন বাইরে কেন প্রশাসন জবাব চাই, হলে হলে নির্যাতন কেন প্রশানের জবাব চাই, নির্যাতন করে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না’ বলে স্লোগান দিচ্ছে। বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান ও নুরুল হক নূর।
কেন্দ্রীয় লাইব্রেবির সামনে থেকে বিক্ষোভ শুরু হওয়ার কথা থাকলে ছাত্রলীগের অবস্থানের কারণে তা পরিবর্তন করে রাজু ভাস্কর্য থেকে আন্দোলন করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।
প্রসঙ্গত, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে হল কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন শিক্ষার্থীকে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ, ফোন কেড়ে নেয়ার পাশাপাশি কয়েকজনকে হল থেকে বের করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এ সংবাদে সেখানে উপস্থিত হন কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ওই ছাত্রীদের হল থেকে বের করে দেয়া হয়নি। তাদের অভিভাবকদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। সকালে অভিভাবকদের ডাকা হলেও আসতে দেরি করায় রাতে ছাত্রীদের অভিভাবকদের হাতে তুলে দেয়া হয়।