রবিবার, ২৪ মার্চ ২০২৪, ১০:৪৪ অপরাহ্ন

টালিউডে বই পাগল তারকারা

টালিউডে বই পাগল তারকারা

বই শাশ্বত, বই চির তরুণ। বইয়ের গ্রহণযোগ্যতা ফুরালেও প্রয়োজনীয়তা ফুরানোর নয়। আমাদের জীবসত্তা জাগ্রত থাকলেও মানবসত্তা জাগ্রত করার সিঁড়ি হচ্ছে বই। মানব সভ্যতার সূচনা থেকেই মানুষের পাঠ অভ্যাসের তথ্য পাওয়া যায়। মানুষ বই পড়ে মনের খোরাকের জন্য, অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য এবং নিজেকে জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করার জন্য।

শোবিজ তারকাদের অনেকেই আছেন বই পাগল। টালিউডের বইপোকাড়া কথা বললেন তাদের প্রিয় বই, বর্তমান সময়ে কি পড়ছেন, বই পড়ার নেশাটা হলো কীভাবে তা নিয়ে দেখে নিন কোন তারকা কে কি বউ পছন্দ করেন।

 

ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত

বাড়িতে নিয়মিত ‘দেশ’ আসত। সেগুলো একসঙ্গে বাঁধিয়ে তার মাকেও পড়তে দেখতেন। কাকার আলমারি ভর্তি ছিল বইয়ে। শৈশবে তো ইন্টারনেট ছিল না। স্কুলের লাইব্রেরিতে পড়তেন ন্যান্সি ড্রিউ, ‘ফেমাস ফাইভ’, ‘আগাথা ক্রিস্টি’। একটু বড় হওয়ার পর সিডনি শেলডন এবং অবশ্যই রবীন্দ্রনাথ। কেউ জন্মদিনে বই উপহার দিলে তা সযত্ন রাখা ও কেউ বই নিয়ে গেলে বারবার তাগাদা দেওয়া এই অভ্যাস বহুকালের। সদ্য পড়া শেষ করেছেন বিক্রম সম্পতের ‘গওহর জান’।

এছাড়াও নিয়মিত পড়া হয় অরুন্ধতী রায়, চিত্রা বন্দ্যোপাধ্যায় দিবাকারুণি, খালেদ হোসেইনির সঙ্গে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, মুন্সি প্রেমচাঁদ, বনফুলের লেখা।

 

আবীর চট্টোপাধ্যায়

ছোটবেলায় মা-বাবাই জোর করে বই পড়ানোর অভ্যাস করিয়েছিলেন। তার প্রিয় লেখকদের তালিকায় আছেন শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, হুমায়ূন আহমেদ। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, সমরেশ মজুমদার সব পড়া শেষ। প্রিয় বই অগুনতি। এ ছাড়াও তিনি জানালেন, স্ত্রী নন্দিনীর সঙ্গে প্রেমটাও এক প্রকার শীর্ষেন্দুবাবুর জন্যেই। স্ত্রী যেমন ‘দূরবীন’ মুখস্থ বলতে পারেন , তেমনি আবির পারেন ‘পার্থিব’। প্রিয় বইয়ের তালিকায় সবার প্রথমে ‘ফেলুদা’।

 

রাহুল

মায়ের হাত ধরেই বইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক। তিনি জানান,‘তখন বোধহয় ক্লাস ওয়ান বা টু-তে পড়ি। মা দুপুরবেলায় গল্প বলতেন। যখন ইন্টারেস্টিং জায়গা আসত, বইটা উপুড় করে রেখে মা ঘুমিয়ে পড়তেন। এ ভাবে কয়েক দিন চলার পর, উত্তেজনা চাপতে না পেরে শেষে বানান করে পড়তে শুরু করলাম। এ ভাবেই ইচ্ছেটা ধরে গেল।’

বইপ্রেমী রাহুলের প্রথম পছন্দ নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়। শিবরাম চক্রবর্তী, সৈয়দ মুজতবা আলি ছাড়াও নন-ফিকশন, আত্মজীবনী, সাক্ষাৎকারের সংকলন বেশি পড়েন। সদ্য শেষ করেছেন ‘নির্বাসিতের আত্মকথা’। শুটিংয়ের ফাঁকে সময় পেলে বই নিয়ে বসে পড়েন রাহুল। এ সময়ে হাতে আছে জ্যোতিরিন্দ্র নন্দীর ছোটগল্প।

 

পার্নো মিত্র

সদ্য শেষ করেছেন এলিনা ফেরান্তের ‘মাই ব্রিলিয়ান্ট ফ্রেন্ড’। বাড়িতে বইয়ের বিশাল লাইব্রেরী রয়েছে। অনলাইনে বই পড়ে মজা পাই না। পাতা উল্টোনোর শব্দ না হলে, পাতার গন্ধ না পেলে বই পড়ে তৃপ্তি নেই।’ বললেন পর্ণ। পার্নোর পছন্দের তালিকায় রয়েছে নোরা এফ্রন, অমিতাভ ঘোষ, ঝুম্পা লাহিড়ি, জে কে রাউলিং। আর বাংলা বইয়ের হিসেব করলে তিন বছর হল শুরু করেছেন শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। এখনো শেষ করতে পারেননি।

 

পাওলি দাম

বিয়ের পর শাশুড়ির কাছ থেকে উপহার পেলেন শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত। সেটা শেষ করে নতুন বই পড়ছেন। তার প্রিয় বন্ধু বই। ব্যস্ততা থাকলেও হাতের কাছে প্রেমের গল্প পেলে ছাড়েন না। পাওলির বই পড়ার হাতেখড়ি মা হলেও অনুপ্রেরণা দাদামশাই। প্রিয় লেখকের তালিকায় রয়েছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সমরেশ বসু, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, বিক্রম শেঠ, অরুন্ধতী রায়, পাওলো কোয়েলহো, মিলান কুন্দেরা। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘দেবী চৌধুরাণী’ ও রবীন্দ্রনাথের ‘শ্যামা’ চরিত্রে অভিনয়ও করতে চান। এখন পড়ছেন এ জে ফিনের ‘দ্য উওম্যান ইন দ্য উইন্ড’ বইটি। সংগৃহীত

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com