রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪২ অপরাহ্ন
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: তালা উপজেলার খেশরা ইউনিয়ন ও পাশ্ববর্তী পাইকগাছা উপজেলার রাড়ুলী ইউনিয়নের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হওয়া এই কপোতাক্ষ নদীর উপর নির্মিত এই কাঠের ব্রিজটি প্রতিনিয়ত জীবনের সংশয় ডেকে আনছে খেশরা, শাহাজাতপুর, ডুমুরিয়া গ্রামের মানুষের। ওপারে কাটিপাড়া গ্রামের মানুষের প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র কপিলমুনি যাতায়াতেও হুমকির মুখে পড়ছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এখান থেকে দুই বছর আগেও এই নদীর উপর নির্মিত ছিল একটি ব্রিজ।কিন্তু দুঃখ জনক হলেও সত্য যে, গ্রামের মানুষের জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য নদীটি খনন করা হয়, কিন্তু জলাবদ্ধতা নিরসন করতে গিয়ে যোগাযোগের এমন বেহাল অবস্থায় পড়তে হবে সেটা কেউ ভাবিনি। নদী কাটার ফলে জোয়ারের তীব্র পানিতে এই ব্রিজটি ভেঙ্গে পড়ে। যার পর থেকে যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়ে এই সব মানুষের। প্রথমত ,যোগাযোগ ব্যাবস্থার জন্য নৌকা দেওয়া হয়। কিন্তু লোকজনের চাপ, মালামাল সহ যানবহন পারাপারের অসুবিধার হওয়ায় স্থানীয় প্রভাবশালীদের নেতৃতে নির্মিত হয় এই কাঠের ব্রিজটি। প্রতিদিন লোকজন নিদিষ্ট টাকা দিয়ে পার হলেও লোকজনের চাপ, ভ্যান, মোটরযান, নসিমনের ভিড়ে এই ব্রিজটি ভাঙ্গতে বসেছে। ইতিমধ্যে এক পাশের বাঁশ-খুটি ভেঙ্গে পড়েছে এবং এর মধ্যের এক অংশ ভেঙ্গে যাওয়ায় জীবনের সংশয় নিয়ে পার হচ্ছে সাধারন মানুষ ও ব্যাবসায়ী লোকজন। তাছাড়া অত্র গ্রামগুলোর মানুষের পাশ্ববর্তী স্বনামধন্য আর.কে.বি.কে কলেজ থাকায় উক্ত গ্রামের শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী এই ব্রিজটি ব্যাবহার করে কলেজে যাতায়ত করে। কিন্তু বর্তমানে ব্রিজটির অবস্থা এমন হওয়ায় কলেজে যাওয়া বন্ধ হয়ে পড়ছে অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রীর। কাটিপাড়া বাজার মুদি ব্যাবসায়ী হাসান গাজী বলেন, “কিছুদিন আগে দোকানের মালামাল আনতে গিয়ে ব্রিজ থেকে পড়ে গিয়ে বড় অংকের টাকার মালামাল নষ্ট হয়ে যায় এবং আমি নদীতে পড়ে গিয়ে মরনের পথ থেকে ফিরে আসি।” এভাবে অসংখ্য মানুষের যোগাযোগের এই অন্যতম মাধ্যমটি অসুবিধা হওয়ায় তাদের দুঃখের সীমা ছাড়িয়ে গেছে। উক্ত বিষয়টা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও উদ্ধর্তন কমর্কতাদের আমলে নেওয়ায় জন্য অনুরোধ করেন উক্ত গ্রামের ভুক্ত-ভুগিরা।
-রিয়াদ হোসেন