রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ০৫:১৪ অপরাহ্ন
বিনোদন ডেস্ক: সত্তর দশকের কথা। পুনের একটি ফিল্ম ইনস্টিটিউশনে অভিমাভ বচ্চনকে প্রথমবার দেখেছিলেন জয়া বচ্চনের। নির্মাতা কে আব্বাস এবং একটি দলের সঙ্গে সেখানে গিয়েছিলেন অমিতাভ। সেদিন কোন আলোচনা হয়নি অমিতাভ-জয়ার মাঝে। কিন্তু তবুও বলিউডের এই মেগাস্টারের ব্যক্তিত্ব নাকি মুগ্ধ করেছিল জয়াকে।
সত্তর দশকের ওই সময়টিতে অভিনেতা হিসেবে বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে জায়গা করে নেওয়ার জন্য সংগ্রাম করে যাচ্ছিলেন অমিতাভ বচ্চন। তবে সেসময় জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন ছিলেন জয়া বচ্চন।
গ্লসি ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদকন্যা হয়েছিলেন জয়া বচ্চন। আর সেসময় নাকি বলিউডের এই অভিনেত্রীর সৌন্দর্য চোখে পড়ে অমিতাভের।
এদিকে, ভালো স্বামী হওয়ার জন্য একজন পুরুষের মাঝে যা যা থাকা দরকার যেমন ভালো সঙ্গ, সবকিছুর সঙ্গে সমানতালে তাল মেলানো, সংস্কৃত এবং মর্ডান তার সবকিছুই নাকি অমিতাভ বচ্চনের মাঝে খুঁজে পেয়েছিলেন জয়া। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে নিজের প্রেমের গল্প শোনাতে গিয়ে এসব কথা বারবার স্বীকার করেছেন তিনি।
অমিতাভ-জয়ার আনুষ্ঠানিকভাবে দেখা হয় হরিকেশ মুখার্জির ‘গুড্ডি’ ছবিতে। এতে প্রথমবার জুটিবদ্ধ হয়ে কাজ করেছিলেন তারা। তবে এই তারকা জুটির প্রেমের শুরুটা হয় ‘এক নজর’ ছবির সেট থেকে।
এই তারকা জুটির প্রেমের সম্পর্ক পরিণতি পায় ১৯৭৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘জাঞ্জির’ ছবির সফলতার পর।
অমিতাভ বচ্চন ও তার বন্ধুরা মিলে পরিকল্পনা করেছিলেন যে, ‘জাঞ্জির’ যদি ব্যবসা সফল হয় তাহলে সকলে মিলে লন্ডনে বেড়াতে যাবেন। কিন্তু ছবিটি সফলতা লাভ করলেও তাদের পরিকল্পনায় আপত্তি জানান অমিতাভ বচ্চনের বাবা-মা। সেময় তারা বলিউড শাহেনশাকে বলেছিলেন, “যদি তুমি বিয়ে না করো তাহলে লন্ডন যেতে পারবে না।” বাবা-মায়ের এমন মন্তব্যেরে পরই জীবনে বড় সিদ্ধান্তটি নিয়ে ফেলেন অমিতাভ-জয়া। ১৯৭৩ সালের ৩ জুন বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন তারা। দেখতে দেখতে একসঙ্গে কাটিয়ে দিয়েছেন দাম্পত্য জীবনের ৪৭টি বছর।
আজ (৩ জুন) এই তারকা দম্পতির ৪৭তম বিবাহবার্ষিকী।