শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫, ০৩:৫১ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
কুড়িগ্রামে দুই ডায়াগনস্টিক সেন্টার সীলগালা করলো ভ্রাম্যমান আদালত গোদাগাড়ীতে ভেজাল সার বিক্রির দায়ে ব্যবসায়ীকে জরিমানা ও কারাদণ্ড রূপগঞ্জে রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৮৭৮কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ বাগমারায় বিএনপির একাংশের সমাবেশ ঘিরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া গাজীপুরে ২৪ ঘণ্টায় দুই সাংবাদিকের উপর হামলা: রিপোর্টার তুহিন নিহত, আরেকজন গুরুতর আহত দেশবরণ্য সাংবাদিক সাঈদুর রহমান রহমান রিমনের রুহের মাগফিরাত কামনায় স্মরণ সভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত ১২ মাসে সরকারের ১২ সাফল্য তুলে ধরলেন প্রেস সচিব শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে যাত্রীবাহী মিনিবাস পুকুরে উল্টে আহত ২০,নিখোঁজ ১ মোহনপুরে গভীর রাতে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে কোল্ড স্টোরেজে ডাকাতি, টাকাসহ মালামাল লুট ভূমি অধিগ্রহণে ঘুষ বাণিজ্য, নরসিংদীতে ক্ষতিগ্রস্তদের আহাজারি
ভাষাসৈনিক মির্জা মাজহারুল আর নেই

ভাষাসৈনিক মির্জা মাজহারুল আর নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভাষাসৈনিক ও দেশের বিশিষ্ট শল্যচিকিৎসক অধ্যাপক ডা. মির্জা মাজহারুল ইসলাম আর নেই (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

আজ রবিবার (১১ অক্টোবর) সকাল সোয়া ৯টায় রাজধানীর বারডেম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর।

ডা. মাজহারুল বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন। গত ৩০ সেপ্টেম্বর বারডেমের আইসিইউতে ভর্তি হন প্রবীণ এই চিকিৎসক ও ভাষা সংগ্রামী।

১৯৫৪ সালে অনারারি হাউজ সার্জন হিসেবে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে কর্মজীবন শুরু করেন মির্জা মাজহারুল ইসলাম। পরে ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপ্যাল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। জহুরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজের উপদেষ্টা হিসেবে কলেজ প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখেন তিনি।

ডা. মাজহারুল ১৯৯৩ সাল থেকে বারডেম সার্জারি বিভাগে মুখ্য উপদেষ্টা হিসেবে ছিলেন। তিনি দুইবার বারডেমের অবৈতনিক মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশ কলেজ অব জেনারেল প্র্যাকটিশনারসের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন ২০ বছর। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি বারডেম জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের অনারারি চিফ কনসালটেন্ট ছিলেন। তিনি এত বেশি সার্জারি করেছেন যা এই উপমহাদেশে একটি রেকর্ড।

১৯২৭ সালের ১ জানুয়ারি টাঙ্গাইলের কালিহাতি উপজেলার আগচারান গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন প্রখ্যাত এই চিকিৎসক। ১৯৫২ সালে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ভাষা আন্দোলনের প্রথম দুটি সংগ্রাম পরিষদের সদস্য ছিলেন (১৯৪৭-১৯৪৮) এবং প্রথম শহীদ মিনারের পরিকল্পনা ও নির্মাণে বিশেষ অবদান রাখেন (২৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২)।

নিজেকে ভাষা আন্দোলনের ‘আঁতুড় ঘরের’ সাক্ষী বলে দাবি করেন ডা. মাজহারুল। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার পর তিনি হাসপাতালে কর্মরত অবস্থায় অসংখ্য আহত ভাষাকর্মীর অস্ত্রোপচার  করেন। ২০১৮ সালে ভাষা আন্দোলনে অবদানের জন্য এই গুণীজনকে একুশে পদক প্রদান করা হয়।

বারডেম জেনারেল হাসপাতালে আজ বাদ জোহর জানাজা হবে ডা. মাজহারুলের। রাজধানীর মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত হবেন তিনি।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com