মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৫২ পূর্বাহ্ন
আগৈলঝাড়া প্রতিনিধিঃ
আনাড়ী ও হাতুরে ডাক্তারের অপচিকিৎসায় লিয়া বেগম নামের এক এক প্রবাসীর স্ত্রী’র গর্ভের সন্তান মারা যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অপচিকিৎসার ফলে অসুস্থ হয়ে বর্তমানে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বরিশালের আগৈলঝাড়ায়। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থার নেওয়ার আস্বাস দিয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (ইউ.এইচ.এ.এফ.পিও) ডা. বখতিয়ার আল মামুন।
জানাগেছে, উপজেলার আমবৌলা গ্রামের ইউনুস ফকিরের পুত্র প্রবাসী গোলাম মওলা’র ৭ মাসের অন্তঃস্বত্তা স্ত্রী লিয়া বেগমের শরীরে জ্বর দেখা দিলে ২৪ জুলাই শনিবার পয়সার হাট বাজারে শহীদ মেডিকেল হল ফার্মেসীতে চিকিৎসক রিপন হালদার এর কাছে নিয়ে যায় স্বজনরা।
অসুস্থ্য লিয়া বেগমের স্বজনরা জানান. গত শনিবার লিয়া বেগম সামান্য জ্বর হলে পয়সার হাট বাজারে শহীদ মেডিকেল হল ফার্মেসীতে চিকিৎসক রিপন হালদার এর কাছে নিয়ে গেলে আনাড়ি হাতুরে চিকিৎসক রিপন হালদার স্থানীয় বেঙ্গল ডায়াগণষ্টিক সেন্টারে রক্ত পরিক্ষা করতে বলেন। রক্ত পরিক্ষা শেষে রির্পোট দেখে চিকিৎসক রিপন হালদার এন্টিবায়টিক ইনজেকশন পুশ করলে লিয়া বেগম অসুস্বস্থ্য হয়ে পরে।
পরের দিন রবিবার সকালে পূর্ণরায় এন্টিবায়টিক ইনজেকশন পুশ করলে গুরুত্বর অসুস্থ্য হয়ে পরে। বিষয়টি ওই চিকিৎসককে জানালে সে অ্যালজিন নামক একটি ঔষধ খাওয়াতে বলেন। অসুস্থ্য লিয়া বেগমকে ওই ঔষধ খাওয়ানো হলে তাতেও রোগীর অবস্থা পরিবর্তন না হওয়ায় গুরুত্বর অবস্থায় সোমবার উপজেলার পয়সারহাট আদর্শ জেনারেল হাসপাতাল ও ডায়গণষ্টিক সেন্টার নামক বেসরকারী কিনিকে ভর্তি করানো হয়। পয়সারহাট আদর্শ জেনারেল হাসপাতাল ও ডায়গণষ্টিক সেন্টার এর কর্মরত চিকিৎসক মোকসেদ হাসান অন্তঃস্বত্বা গৃহবধূকে আল্ট্রাসনোগ্রাম করে গর্ভের সন্তান মৃত্যু বলে জানান। এর পর নরমালভাবে ওই কিনিকে গর্ভের মৃত সন্তান প্রসব করানোর চেষ্টা করানো হয়।
এতে অবস্থার অবনতি হলে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এন্টিবায়টিক ইনজেকশন পুশ করার কথা স্বীকার করে পল্লী চিকিৎসক রিপন হালদার বলেন, রোগীদের এন্টিবায়টিক লেখার কোন এখতিয়ার আমাদের নেই। তবুও রোগী ভালো করার স্বার্থে এন্টিবায়টিক দিয়ে থাকি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (ইউ.এইচ.এ.এফ.পিও) ডা. বখতিয়ার আল মামুন বলেন, পল্লী চিকিৎসকরা এন্টিবায়টিক লিখতে পারেনা। অভিযুক্ত ওই পল্লী চিকিৎসকের অপচিকিৎসায় যদি গর্ভের সন্তান মারা যায় তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।