রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৮ অপরাহ্ন
ক্রীড়া ডেস্কঃ চতুর্থ দিন শেষেই জয়ের সুবাস পাচ্ছিল ইংল্যান্ড। জয়ের বাকি আনুষ্ঠানিকতা সারতে শেষ দিনে ১ ঘণ্টাও লাগল না। দুই স্পিনার জ্যাক লিচ ও মঈন আলীর দারুণ বোলিংয়ে পাল্লেকেলে টেস্টে শ্রীলঙ্কাকে ৫৭ রানে হারিয়ে ১ ম্যাচ হাতে রেখেই ১৭ বছর পর শ্রীলংকার সিরিজ জিতেছে জো রুটের দল। এর আগে সবশেষ তারা শ্রীলংকায় সিরিজ জিতেছিল ২০০১ সালের শুরুতে।এ ছাড়া ২০১৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানোর পর এই প্রথম দেশের বাইরে সিরিজ জিতল ইংলিশরা। আর রুটের অধীনে দেশের বাইরে তাদের প্রথম সিরিজ জয়।
৩০১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শেষ দিনে জয়ের জন্য শ্রীলংকার দরকার ছিল ৭৫ রান। আর ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ৩ উইকেট। ইংল্যান্ডের আশা কিছুটা জিইয়ে রেখেছিলেন ২৭ রান নিয়ে দিন শুরু করা নিরোশান ডিকভেলা। তবে ৩৫ রান করে তিনি দিনের ষষ্ঠ ওভারে অফ স্পিনার মঈনের বলে প্রথম স্লিপে বেন স্টোকসকে ক্যাচ দিয়ে ফিরতেই ম্যাচ থেকে পুরোপুরি ছিটকে যায় লংকানরা।মঈনের এক বল পর বোল্ড হয়ে ফেরেন এই টেস্টের শ্রীলংকান অধিনায়ক সুরঙ্গা লাকমালও। আর দুই ওভার পর নিজের বলে নিজেই মিলিন্ডা পুষ্পকুমারার ক্যাচ নিয়ে ২৪৩ রানে স্বাগতিকদের ইনিংস গুটিয়ে দেন লিচ।অথচ চতুর্থ দিনে একটা সময় জয়ের পাল্লা ভারী ছিল শ্রীলঙ্কার দিকেই। চা বিরতির সময় জয় থেকে ৮২ রান দূরে ছিল শ্রীলংকা, হাতে ৫ উইকেট। তখন ৮৭ রানে ব্যাটিংয়ে অভিজ্ঞ অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। কিন্তু চা বিরতির পর ২০ বলের মধ্যেই পাল্টে যায় চিত্র। বিরতির পর তৃতীয় বলেই মঈনের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন ম্যাথুস। খানিক বাদে লিচের বলে এলবিডব্লিউ দিলরুয়ান পেরেরাও। এর পর বৃষ্টিতে চতুর্থ দিনের খেলা শেষ হয়েছিল আগেভাগেই। সেই বৃষ্টি ইংল্যান্ডের জয়টাই একটু বিলম্বিত করতে পেরেছে শুধু।শেষ ইনিংসে ৮৫ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন লিচ। বাঁহাতি এই স্পিনার ৩ টেস্টের ক্যারিয়ারে এই প্রথম ৫ উইকেট পেলেন। অফ স্পিনার মঈন ৭২ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। অন্য উইকেটটা লেগ স্পিনার আদিল রশিদের।প্রথম ইনিংসেও শ্রীলংকার সবগুলো উইকেট নিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের স্পিনাররা। এ নিয়ে মাত্র তৃতীয়বার ইংল্যান্ডের কোনো টেস্ট জয়ে তাদের কোনো পেসার উইকেট পেলেন না।এই ম্যাচে স্পিনাররা নিয়েছেন মোট ৩৮ উইকেট। টেস্ট ইতিহাসেই যা কোনো ম্যাচে সর্বোচ্চ। ১৯৬৯ সালে নাগপুরে ভারত-নিউজিল্যান্ড টেস্টে স্পিনারদের ৩৭ উইকেট ছিল আগের রেকর্ড। লিচ ৫ উইকেট পেলেও দ্বিতীয় ইনিংসের সেঞ্চুরির জন্য ম্যাচসেরা হয়েছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক রুট।