মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৪৫ পূর্বাহ্ন
ম্যাচের ৬৮ মিনিটে ইনিয়েস্তার বদলি হিসেবে মাঠে নামলেন বার্সার ক্লাব ইতিহাসের রেকর্ড গড়ে ১৬০ মিলিয়নে লিভারপুল থেকে আসা ফিলিপে কুতিনহো। নেমেই নিজের পায়ের কারিকুরি দেখাতে শুরু করেন কুতিনহো। মোট ২৪টি সফল পাস আর দুটি গোলের সুযোগও তৈরি করেছিলেন কুতিনহো। নিজের এমন অভিষেক ম্যাচের বার্সার মাঠে স্বাক্ষী হয়ে রইলেন কুতিনহো।
লিওনেল মেসি মানে আরো একটি ম্যাচ, আরো একটি গোল। লিওনেল মেসির আরো এক কীর্তি। তবে সেটিকে ব্যক্তিগত হিসেবে ধরে নিলেও কোনো সমস্যা হবে না। কেননা এলএম টেনের গোলের মাধ্যমেই এসেছে ন্যু ক্যাম্পে বার্সেলোনার ৪,০০০তম গোলের মাইলফলক।
শুক্রবার ভোর রাতে কোপা ডেল’রের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে এস্পানিওলের বিপক্ষে অসামান্য এ কীর্তি গড়েন বার্সেলোনার আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার।
ম্যাচ শুরুর ২৫ মিনিটে এস্পানিওলের জালে এদিন নিজের প্রথম এবং দলের দ্বিতীয় গোলটি করেন মেসি। এর আগে ৯ মিনিটে কাতালানদের প্রথম এগিয়ে নেন লুইস সুয়ারেজ। ন্যু ক্যাম্পে এটি ছিল কাতালানদের ৩৯৯৯তম গোল। আর চার হাজারতম গোলটি আসে মেসির পা থেকে। একেই বলে সৌভাগ্য! অথচ কোপা ডেল’রের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে এস্পানিওলের মাঠ থেকে কিন্তু ১-০ গোলের হার নিয়ে বাড়ি ফিরেছিল ভালভার্দের দল। যে কারণেই দ্বিতীয় লেগের ম্যাচটি ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
১৯৫৭ সালে ন্যু ক্যাম্পের যাত্রা শুরুর পর স্টেডিয়ামটির ইতিহাসে এটা ছিল ৪০০০তম গোল! এর মধ্যে ৭.৭ শতাংশ গোল মেসির। ‘অ্যাসিস্ট’ ও গোল হিসাব করলে ১০ শতাংশ। নু ক্যাম্পে মেসির খেলা ২৯৬টি অফিশিয়াল ম্যাচের মধ্যে ২৪৩ ম্যাচেই জিতেছে বার্সা।
কেননা তার আগের দিনই যে লেগানেসের কাছে অ্যাওয়ে গোলের ব্যবধানে হেরে টুর্নামেন্ট থেকেই ছিটকে পড়ে রিয়াল মাদ্রিদ! তবে সেই পথে হাটেনি বার্সেলোনা। শেষ পর্যন্ত তারা দ্বিতীয় লেগের ম্যাচটা জিতে ২-০ ব্যবধানে। সেইসঙ্গে টানা অষ্টমবারের মতো এই টুর্নামেন্টের শেষ চারে জায়গা করে নেয় স্পেনের জায়ান্ট ক্লাবটি।